কলকাতা: প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগও রয়েছে। ২০১২ সালে PSC-র সদস্য হন জ্যোতিপ্রিয়র দাদা দেবপ্রিয়। সরকারি কর্মী না হয়েও কীভাবে PSC-তে দেবপ্রিয়? প্রশ্ন ওঠে। ২০১৮ সালে WBCS পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষায় নম্বর শূন্য থেকে বেড়ে হয় ১৬২। জ্যোতিপ্রিয়র ভাই দেবপ্রিয় তখন PSC-র সদস্য। WBCS পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়। কিন্তু মামলা দায়ের হলেও তদন্ত হয়নি। কেন হয়নি? প্রশ্ন সেখানেই। প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।
এক মামলাকারী বলেন, “২০১২ সালে WBCS পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এটা নিয়ে প্রথম থেকেই আমরা আন্দোলনে রয়েছি। এখনও পর্যন্ত আদালতে মামলা চলছি। জানি তো আমরা কারা কারা চুরি করেছে। এখনও PSC তে স্থায়ী চেয়ারম্যান নেই। নকুল মাহাতো-সহ কয়েকজন হচ্ছেন PSC বোর্ডের মেম্বার। অসম্ভব চুরি হচ্ছে। আমরা লড়াই করছি। চোরেদের জেল ভরবই।”
আরও অভিযোগ, PSC তে যাঁরা সরকারি কর্মীই নন, তাঁকরাই সদস্য লাভ করেছেন। তাঁরাই আবার চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিতেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ২৫-এর বেশি ইন্টারভিউতে রাখা যাবে না। সেক্ষেত্রে কোনও চাকরিপ্রার্থী লিখিত ও ভাইবা দিয়ে ১০০ মধ্যে প্রায় ৯০ পেয়েছেন, অথচ ইন্টারভিউতে ৭ কিংবা ৮ পেতেন, তাঁদের বাদ দিয়ে দেওয়া হত। একমাত্র যাঁরা মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তাঁরাই দশে দশ পেয়েছিলেন। এমনকি যিনি শূন্য পেয়েছিলেন, তাঁকে দেখানো হয়েছিল ১৬২। স্বজনপোষণের মারাত্মক অভিযোগ ওঠে ২০১৮ সালে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিংবা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠরা PSC-র সদস্য হতেন। আর অভিযোগ, তাঁরাই বাছাই করে ইন্টারভিউ নিতেন। WBCS পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাতেও যেখানে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল, সেখানেও কেন চুপ প্রশাসন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।