কলকাতা: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মীরা আন্দোলন করছেন। রাজ্য অতিরিক্ত ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়ার ঘোষণা করলেও তাতে সন্তুষ্ট নন তাঁরা। কেন্দ্রের সমহারে রাজ্যে ডিএ দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় হারে বিধায়ক ভাতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যয়। ডিএ-র দাবির প্রসঙ্গ তুলে আদালতে তাঁর প্রশ্ন, রাজ্যের বিধায়করা কেন্দ্রীয় হারে কেন ভাতা পাবেন না? রাজ্য জুড়ে যখন বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চলছে, তখন তাঁর এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, সরকারি কর্মীরা মূল্যবৃদ্ধির যুক্তি দিচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে বিধায়করাও তো একই সমস্যার মুখে। কল্যাণ আরও বলেন, ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দিতেই পারতেন তিনি। কিন্তু, ‘বড়’ আইনজীবীদের মাথায় কেন এটা এল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে একটি জমি সংক্রান্ত মামলা ছিল। সেই মামলা চলাকালীনই ডিএ প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেন আইনজীবী।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় আরও প্রশ্ন তোলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মতো কি হাইকোর্টের বিচারপতিরাও সমহারে ডিএ পাবেন? সে প্রশ্নের অবশ্য কোনও উত্তর দেননি বিচারপতি বসু। আর ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যকে পরামর্শ দিতে নারাজ তিনি। আইনজীবী বলেন, ‘রাজ্যকে আমি কোনও পরামর্শ দেব না। রাজ্যের এখন অনেক বড় বড় আইনজীবী আছেন। জানি না কেন তাঁদের বুদ্ধিতে এটা আসেনি।’ তবে কি আইনজীবী বাছাই নিয়ে কল্যাণের ক্ষোভ রয়েছে? উঠছে সেই প্রশ্নও।
তাঁর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কল্যাণ দা সিনিয়র আইনজীবী। তিনি কোন পরিপ্রেক্ষিতে কী বলেছেন, না বুঝে দলের মুখপাত্র হিসেবে আমার কিছু বলার নেই।’
উল্লেখ্য, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আন্দোলন চলছে রাজ্যে। আগে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। হাইকোর্ট তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও, সেই ডেটলাইন পার হয়েছে অনেক আগেই। আদালত বলেছিল, ডিএ সরকারি কর্মীদের অধিকার। শীর্ষ আদালতে মামলা চলছে এখনও। ডিএ না দেওয়ার আদালত অবমাননার মামলাও করে কর্মী সংগঠনগুলি।