কলকাতা: কামদুনি মামলার রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতে যে তিনজনকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়েছিল, তাদের মৃত্যুদণ্ড মকুব করেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ওই তিনজনের মধ্যে একজনকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত। বাকি দু’জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। বাকি তিন অভিযুক্ত, যাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত, তাদের ক্ষেত্রেও একজনের সাজা রদ করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অপর দু’জনকেও ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের জেলে কাটাতে হবে।
হাইকোর্টের এই রায়ের পর ভেঙে পড়েছেন কামদুনির প্রতিবাদীরা। কামদুনিকাণ্ডের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়াল। আজ আদালতের রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরে অসুস্থ হয়ে পড়েন মৌসুমী। রাস্তায় বসে কাঁদতে থাকেন তিনি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলে আসছিলেন কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী, টুম্পা, মাস্টারমশাইরা। আজ হাইকোর্টের রায়ের পর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন টুম্পা কয়ালও। আদালত চত্বরে রাস্তায় বসে হা-হুতাশ করে কাঁদছেন টুম্পা। কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, “গোটা রাজ্যের মানুষ দেখেছিল আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন। আজ আমরা নিরাশ। হাইকোর্টে আমরা অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু আজ আমরা নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছি।”
টুম্পা বলছেন, “ভয় আমি আর পাচ্ছি না। আমি বুঝে গিয়েছি যে এই রাজ্যে বাস করতে গেলে লড়াই করেই বাঁচতে হবে। রাজ্যে একের পর এক মায়ের কোল খালি হচ্ছে। একের পর এক ধর্ষণ হচ্ছে।” হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলেও জানাচ্ছেন কামদুনির অন্যতম প্রতিবাদী মুখ টুম্পা কয়াল।