কলকাতা ও শিলিগুড়ি: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা ফের একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে রেলের তরফে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই হাইটেক প্রযুক্তির তালিকায় রয়েছে ট্রেনের সংঘর্ষ এড়ানোর ‘কবচ’ সিস্টেমও। কিন্তু সেই ‘কবচ’ এখনও বসে ওঠেনি সব লাইনে। বাংলার কোনও ট্র্যাকে এখনও বসেনি কবচ প্রযুক্তি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর জানাল রেল বোর্ড। বাংলার ক্ষেত্রে কবচ প্রযুক্তি এখনও পরিকল্পনার আওতাতেই রয়েছে। দেশে এখনও পর্যন্ত মাত্র দেড় হাজার কিলোমিটার রেল ট্র্যাকেই বসেছে কবচ সিস্টেম।
কবচ সিস্টেম হল একটি অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন সিস্টেম। যা ট্রেনের সংঘর্ষের সম্ভাবনা প্রায় শূন্য করে দেয়। যদি ট্রেনের লোকো পাইলট সময়ের মধ্যে ব্রেক কষতে ব্যর্থ হন, তাহলে এই কবচ সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেনের গতি কমিয়ে আনে। এই হাইটেক প্রযুক্তিতে ব্যবহার হয় আরএফআইডি (রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন) ট্যাগ, যেগুলি বসানো হয় রেলের ট্র্যাকে, স্টেশন ইয়ার্ডে ও সিগনালে। এই সিস্টেম অ্যাক্টিভেট হয়ে গেলে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা বাকি সব ট্রেন থামিয়ে দেয় এবং সংশ্লিষ্ট ট্রেনটি নিরাপদে বেরিয়ে যেতে পারে।
Shri Ashwini Vaishnaw @AshwiniVaishnaw
Hon’ble Railway Minister briefs during live testing of #kavach automatic train protection technology in Lingampalli – Vikarabad section, South Central Railway #NationalSafetyDay @RailMinIndia @drmsecunderabad pic.twitter.com/jtW5EXECm3— South Central Railway (@SCRailwayIndia) March 4, 2022
এক্ষেত্রেও যদি রেলের ট্র্যাকে কবচ সিস্টেম থাকত, তাহলে কি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সঙ্গে মালগাড়ির এই ভয়াবহ সংঘর্ষ এড়ানো যেত? তাহলে কি ঢাকঢোলই সার? সেই প্রশ্নও উঠে আসতে শুরু করেছে। যদিও রেল বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ‘এই কবচ সিস্টেম ধাপে ধাপে কার্যকর করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেশে দেড় হাজার কিলোমিটার রেলপথে কবচ রয়েছে। এই বছর আরও তিন হাজার কিলোমিটার রেলপথে কবচ বসে যাবে। এই বছর যে তিন হাজার কিলোমিটার পথে কবচ বসবে, সেই তালিকায় বাংলাও রয়েছে। দিল্লি-হাওড়া রুটে কবচ সিস্টেম বসবে।’