Kanchanjunga Express Accident: বগি দুমড়ে যাচ্ছে দেখেই ট্রেন থেকে ঝাঁপ মারেন দিলীপ! তারপর…
Kanchanjunga Express Accident: দিলীপ জানান, রেল লাইনের উপর ঝাঁপ মারায় পায়ে লাগে তাঁর। তবে এরপর আর কিছুই সেভাবে মনে নেই। শুধু মনে আছে, সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে। চিকিৎসা করিয়ে আবারও ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়।
কলকাতা: আগরতলা-শিয়ালদহ ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সোমবার। মালগাড়ির ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে যায় এক্সপ্রেসের দু’টি বগি। ঘটনাটি যখন ঘটছে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে একটি অসংরক্ষিত বগির গেটের ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন দিলীপ মণ্ডল নামে এক যাত্রী। মঙ্গলবার শিয়ালদহ স্টেশনে নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা টিভিনাইন বাংলাকে জানালেন তিনি।
সোমবারের দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত হন। বহু আহত এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাত ৩টে ২০ নাগাদ শিয়ালদহে যাত্রীদের নিয়ে পৌঁছয় ওই দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার পর অসংরক্ষিত কামরা এবং পার্সেল ভ্যান সম্পূর্ণ দুমড়ে মুচড়ে যায়। গ্যাস কাটার দিয়ে সেই কামরাগুলিকে সম্পূর্ণ আলাদা করা হয়। মালদহে ট্রেনটি এনে জুড়ে দেওয়া হয় দু’টি বগি। এরপরই শিয়ালদহের পথে রওনা দেয় ট্রেনটি।
সেই ট্রেনেই আগরতলা থেকে শিয়ালদহে পৌঁছন দিলীপ মণ্ডল। তিনি বলেন, “আমি জেনারেল বগিতে ছিলাম। যেটায় অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে, ঠিক তার আগের বগিটায় ছিলাম। হঠাৎ ধাক্কা লাগায় মুখ বাড়িয়ে দেখি পিছনের বগি ভাঙতে ভাঙতে আসছে। আমাদের বগিও কাত হয়ে যাচ্ছিল। তারপরই আমি ঝাঁপ মারি ট্রেন থেকে। নীচে গিয়ে পড়ি। আমি সবটা দেখেছি। আমাদের গাড়িটা ধীরেই চলছিল। পিছন থেকে ওই গাড়িটা খুব জোরে চলে আসে। এসে ধাক্কা মারে।”
দিলীপ জানান, রেল লাইনের উপর ঝাঁপ মারায় পায়ে লাগে তাঁর। তবে এরপর আর কিছুই সেভাবে মনে নেই। শুধু মনে আছে, সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে। চিকিৎসা করিয়ে আবারও ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়।