কলকাতা: কার্যত বিরোধী শূন্য বিধানসভা (West Bengal Assembly) অধিবেশনেও অস্বস্তিতে শাসকদল। বিরোধী শিবির বিজেপির কোনও বিধায়কই অধিবেশন কক্ষে ছিলেন না। কিন্তু এর মধ্যেও শাসকদলের বিধায়ক অপূর্ব সরকারের বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়তে হল শাসকশিবিরকে। যদিও পরে সেই পরিস্থিতি সামাল দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার। নিজের বিধানসভা এলাকায় একটি সেতু ও তার পাশের সম্প্রসারিত রাস্তার কাজ গত ন’মাস ধরে আটকে রয়েছে বলে এদিন বিধানসভায় তুলে ধরেন তিনি। এ নিয়ে কাজের অগ্রগতির বিষয়ে বলেন তৃণমূলের কান্দির বিধায়ক।
শুক্রবার বিধানসভার কলিং অ্যাটেশন পর্বে অপূর্ব সরকার বিষয়টি বলেন। এ নিয়ে পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। মন্ত্রী প্রশ্নের উত্তরে জানান, প্রায় ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ চলছে। অনেকটা কাজ এগিয়েও গিয়েছে।
কিন্তু সেই সময় অপূর্ব সরকারের তরফে বলা হয়, দফতর হয়ত ঠিকমতো কাজ করছে না। এরপরই দেখা যায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা ‘প্রিভিলেজ’ হতে পারে। তাই তা বাদ দিতে হবে। এরপর মলয় ঘটকের তরফে আরও বেশি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
তবে এই ঘটনার জেরে স্বভাবতই একটা অস্বস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয় বিধানসভায়। কারণ, তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকারের বক্তব্যে কার্যত শাসকদলের সরকারই ঠিকমতো কাজ করছে না এ ইঙ্গিত প্রচ্ছন্ন ছিল।
একই সঙ্গে এই পর্ব চলাকালীন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী মলয় ঘটককে উদ্দেশ্য করে বলেন, কোনও কাজই অনন্তকাল ধরে চলবে এটা হয় না। যে কোনও কাজেরই একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: BSF: দ্রুততার সঙ্গে দিতে হবে কাঁটা তার, সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে বৈঠকে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব
আরও পড়ুন: BSF: সিতাইকাণ্ডকে সামনে রেখেই বিএসএফের এক্তিয়ার নিয়ে প্রস্তাব আনা হচ্ছে বিধানসভায়
আরও পড়ুন: Bengal Assembly: আচড়ে কামড়ে একসা করেছে, শিয়ালের বিরুদ্ধে নালিশ জানানো হল বিধানসভায়!