Bengal Assembly: আচড়ে কামড়ে একসা করেছে, শিয়ালের বিরুদ্ধে নালিশ জানানো হল বিধানসভায়!

Maldah: বৃহস্পতিবার শিয়ালের আক্রমণে গ্রামবাসীদের কারও কান কেটে গিয়েছে। কারও আবার রক্তাক্ত হয়েছে নাক।

Bengal Assembly: আচড়ে কামড়ে একসা করেছে, শিয়ালের বিরুদ্ধে নালিশ জানানো হল বিধানসভায়!
শিয়ালের বিরুদ্ধে নালিশ বিধানসভায়। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 12, 2021 | 6:29 PM

কলকাতা: এলাকায় শিয়ালের উৎপাত ঘুম কেড়েছে। আচড়ে কামড়ে একসা করেছে ৪০-৫০ জনকে। আতঙ্কে স্বয়ং এলাকার বিধায়কও। বিধানসভা অধিবেশনে অধ্যক্ষের কাছে তুলে ধরলেন সে কথা। মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন শুক্রবার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে এ বিষয়ের উত্থাপন করেন।

এদিন বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন মালদহ হরিশচন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে আবেদন জানান দৌলতপুর গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত হরদমনগর গ্রামে বৃহস্পতিবার একদল শিয়াল গ্রামবাসীর উপর আক্রমণ চালায়। ভোরের দিকে এই আক্রমণ চলে। ভোরে গ্রামবাসীরা নিজেদের দৈননন্দিন কাজে রাস্তায় বের হতেই এই আক্রমণ চলে।

বৃহস্পতিবার শিয়ালের আক্রমণে গ্রামবাসীদের কারও কান কেটে গিয়েছে। কারও আবার রক্তাক্ত হয়েছে নাক। জখম হয়েছে হাত পা। শিয়ালের পাল বেশ কয়েকজনের আঙুল কামড়ে নিয়েও চলে গিয়েছে বলে বিধানসভায় জানান বিধায়ক। বিধায়ক জানান, তাঁর বিধানসভা এলাকায় এর আগে এই ধরনের ঘটনা কোনও দিন ঘটেনি। এমনকী বন দফতরকে জানানো হলেও, তারা এসে একটি শিয়ালকেও নাগালে পায়নি।

শিয়ালের আক্রমণে আক্রান্ত গ্রামবাসীদের হরিশচন্দ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি যাঁরা গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁদের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোরে কী হয়েছিল হরিশচন্দ্রপুরে? স্থানীয়দের অভিযোগ, এক সঙ্গে ১৫-২০টি শিয়াল অতর্কিতে হামলা চালায় হরদমনগর গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে। সেই সময় গ্রামবাসীরা সদ্য ঘুম থেকে উঠেছেন। কেউ বা প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রাতঃভ্রমণের, কেউ বা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ছট পুজোর, আবার কেউ কেউ ঘরের কাজ করছিলেন। সেই সময় হামলা চালায় শিয়ালের দল।

এক গ্রামবাসী সিদ্ধার্থ শঙ্কর দাসের কথায়, প্রতিদিনের মতো ঘুম থেকে উঠেই গ্রামবাসীরা নিজেদের কাজ করছিলেন। সেই সময়ই আচমকাই শিয়ালের দল হামলা চালিয়ে কামড়াতে শুরু করে। এখনও পর্যন্ত ৪০জনকে কামড়ালেও ২০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকি ২০ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সিদ্ধার্থবাবু জানান, এমন ঘটনা তারা এর আগে কখনও দেখেননি।

গ্রামের আরেক বাসিন্দা বাণী চৌধুরী জানিয়েছেন, ভোর চারটের সময় তাঁরা প্রাতঃভ্রমণে বেরনোর পরেই আচমকাই ওই শিয়ালের দল তাদের তাড়া করে। ভয়ে আমরা বাড়ি থেকে বেরতে পারছি না। বাচ্চারা শিয়ালের ভয়ে বাড়ি থেকে বেরতে ভয় পাচ্ছে। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে দাবী জানাচ্ছি অবিলম্বে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার।

শিয়ালের আক্রমণের পর হরদমনগরের গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বলেও বিধানসভায় জানান বিধায়ক তাজমুল হোসেন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং হরিশচন্দ্রপুর হাসপাতালে ভ্যাকসিনের অভাব রয়েছে। অবিলম্বে প্রয়োজন মতো ভ্যাকসিন পাঠানো হোক।

আরও পড়ুন: সিতাইকাণ্ডকে সামনে রেখেই বিএসএফের এক্তিয়ার নিয়ে প্রস্তাব আনা হচ্ছে বিধানসভায়