কলকাতা : কাঁথি পুরভোটে ছাপ্পা ভোট হয়েছে কি না, তার জন্য সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজের ফরেন্সিক পরীক্ষা করতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। কাঁথি পুরভোটে ছাপ্পার অভিযোগ নিয়ে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (CFSL) ফুটেজের পরীক্ষা করবে। বড় মাত্রায় বুথ দখল, রিগিং হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে। চাইলে তারা অন্য যেকোনও সংস্থার সাহায্যও নিতে পারে বলে আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কোন বুথের কোন ফুটেজ তা নির্দিষ্ট করে সিএফএসএল-কে দশ দিনের মধ্যে দিতে হবে। ছয় সপ্তাহের মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে মুখবন্ধ খামে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দেবে সিএফএসএল। আর ১৩ জুনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
২৭ ফেব্রুয়ারি শতাধিক পুরসভার সঙ্গে ভোট হয় কাঁথি পুরসভাতেও। কাঁথি পুরভোটে বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারী। ভোট বাতিলের দাবি জানান। ফল ঘোষণায় স্থগিতাদেশ চেয়েছিল বিজেপি। তবে সেই আর্জিতে সাড়া দেয়নি হাইকোর্ট। কিন্তু, সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়।
হাইকোর্ট ভোটগণনায় স্থগিতাদেশ না দেওয়ায় বাকি পুরসভাগুলির সঙ্গে ২ মার্চ কাঁথি পুরসভারও ভোটগণনা হয়। অধিকারী গড় বলে পরিচিত এই পুরসভা নিজেদের দখলে রাখে তৃণমূল। ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টি আসন পায় তারা। বিজেপি পায় তিনটি আসন। একটি ওয়ার্ডে জেতেন নির্দল প্রার্থী। শুভেন্দু ও তাঁর ভাই সৌমেন্দু বিজেপিতে যাওয়ায় কাঁথি পুরসভায় ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে রাজনীতির কারবারিরা মনে করছিলেন। বিশেষ করে, এই পুরসভার রাশ দীর্ঘদিন ধরে অধিকারী পরিবারের হাতেই থেকেছে।
বিজেপির অভিযোগ, কাঁথি পুরসভায় স্বচ্ছ ও অবাধ ভোট হয়নি। সেজন্যই ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল। সেই অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেন সৌমেন্দু। ওই মামলারই শুনানিতে আজ সিসিটিভি ফুটেজের ফরেন্সিক পরীক্ষার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী বলেন, সিএফএসএল চাইলে যেকোনও সংস্থার সাহায্য নিতে পারে। প্রয়োজনে সিবিআইয়েরও দ্বারস্থ হতে পারে তারা।
আরও পড়ুন : Hanskhali Case: অটো চড়ে সিবিআই ক্যাম্পে তৃণমূল নেতা, হাঁসখালি ‘ধর্ষণকাণ্ডে’ ডাক পড়ল অভিযুক্তর বাবার