কলকাতা: ইতিমধ্যে বঙ্গে জালিয়াতির নজির স্থাপন করেছেন তিনি। অনেকেই তাঁকে উপাধি দিচ্ছেন ‘ জালিয়াতির শিরোমণি’। যেন ‘জালিয়াতির সিরিজ’ তৈরি করেছেন তিনি। সেই দেবাঞ্জন দেবই (Debanjan Deb) নাকি নিজের দাদা কাঞ্চন দেবের কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। তদন্তকারীদের কাছে নিজের আফসোসের কথা জানিয়েছেন দেবাঞ্জন।
সোমবারই দেবাঞ্জন দেবের দুই সহযোগী কাঞ্চন ও শরৎ পাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, কাঞ্চন দেবাঞ্জনের দূর সম্পর্কের দাদা হন। তিনি অফিসের যাবতীয় জিনিসপত্রের দেখাশোনা করতেন। দেবাঞ্জন তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, অফিসের কোনও কিছু কেনার হলে, কোনও টাকার প্রয়োজন হলে, বাড়তি টাকা আদায় করে নিতেন কাঞ্চন। অর্থাৎ ২’হাজার টাকা ব্যয় হলে, আদায় করতেন তার দ্বিগুণ টাকা!
দেবাঞ্জন যে ভুয়ো আইএএস, তা জানতেন কাঞ্চন! আর হয়তো সেই কারণেই কাঞ্চনের ওপর বিশেষ চাপ দিতে পারেননি ‘অ্যাটিটিউডওয়ালা’ দেবাঞ্জন। চুপচাপ বাড়তি টাকা দিয়ে যেতেন! কিন্তু সব ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর তদন্তকারীদের কাছে নিজের আফসোসের কথা জানিয়েছেন দেবাঞ্জন। বলেছেন, ‘আমি তো নিজেই প্রতারিত। দাদাই প্রতারণা করত আমার সঙ্গে।’ দেবাঞ্জনের ভুয়ো ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ‘অপারেশন’এর যাবতীয় তথ্য জানতেন কাঞ্চন।
আরও পড়ুন: একজন দিত টিকা, অপরজন বসে থাকত দেবাঞ্জনেরই অফিসে, কসবা-কাণ্ডে আটক ২
অন্যদিকে, ধৃত শরৎ পাত্র একজন স্বাস্থ্যকর্মী। আর সেই সুযোগে কসবা, নর্থ সিটি কলেজে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করা তাঁর পক্ষে সহজ হয়েছিল। তিনিই টিকা দিতেন। অ্যামিকাসের ইঞ্জেকশন, যেটি কোভিশিল্ড বলে চালানো হয়েছিল, সেই ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন শরৎ পাত্র। দেবাঞ্জন, কাঞ্চন ও শরৎকে আজকে আলিপুর আদালতে পেশা করা হবে। এরপর তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা।