AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

একজন দিত টিকা, অপরজন বসে থাকত দেবাঞ্জনেরই অফিসে, কসবা-কাণ্ডে আটক ২

Fake Vaccine Kolkata: সূত্রের খবর, প্রায় ১২ জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর দু'জনের বয়ানে ব্যাপক অসঙ্গতি পান তদন্তকারীরা।

একজন দিত টিকা, অপরজন বসে থাকত দেবাঞ্জনেরই অফিসে, কসবা-কাণ্ডে আটক ২
ছবি- ফেসবুক
| Updated on: Jun 29, 2021 | 12:11 AM
Share

কলকাতা: কসবার ভুয়ো টিকাকরণ কাণ্ডে আরও দুই ব্যক্তিকে আটক করল লালবাজার। ধৃত দেবাঞ্জনের যাবতীয় জালিয়াতির তদন্তে নেমে সোমবার একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, প্রায় ১২ জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর দু’জনের বয়ানে ব্যাপক অসঙ্গতি পান তদন্তকারীরা। তারপরই আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় ওই দুই ব্যক্তিকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দু’জনের মধ্যে একজনের নাম সরোজ পাত্র, অপরজন কাঞ্চন দেব। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, কসবার ওই ভুয়ো ক্যাম্পে টিকা দেওয়ার কাজ করত সরোজ। অন্যদিকে, কাঞ্চন দেবাঞ্জনের দূর সম্পর্কের আত্মীয় বলেই জানিয়েছে পুলিশ সূত্র। সে দেবাঞ্জনের কসবার অফিসেই বসে এবং অন্য একটি কোম্পানি চালাত বলে খবর। আপাতত, এই দু’জনেই আটক করেছে পুলিশ। সরোজ পাত্র নামে যে ব্যক্তি ভ্যাকসিন দিত, সে আদৌ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী কি না, সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া হত, এটা জানার পরও সে কেন এত বড় তথ্য প্রকাশ্যে আনল না? এই বিষয়টি নিয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর সূত্রের।

এই দুই ব্যক্তি-সহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ হাতে আসার পরই সোমবার তাঁদের তলব করেছিল লালবাজার। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সরোজ এবং কাঞ্চনের বক্তব্যে অসঙ্গতি মেলায় তাঁদের আটক করা হয়। লালবাজার সূত্রে খবর, এই দুই ব্যক্তিকে পরবর্তী সময় গ্রেফতারও করা হতে পারে।

আরও পড়ুন: এ বার ১.২ কোটির প্রতারণার অভিযোগ দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে, এফআইআর হেয়ার স্ট্রিট থানায়

অন্যদিকে, সোমবারই হেয়ার স্ট্রিট থানায় দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে ১.২ কোটি টাকার সামগ্রী নিয়ে টাকা না দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেন এক ব্যবসায়ী। ফলে সময় যত গড়াচ্ছে, দেবাঞ্জনের জালিয়াতির তালিকা আরও দীর্ঘ হয়ে চলেছে। গোয়েন্দা বিভাগ আজ যাঁদের জেরা করে, তাঁরা প্রত্যেকেই টাকার বিনিময়ে দেবাঞ্জনের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। অভিযুক্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখে গোয়েন্দাদের ধারণা, ২০২০ সাল থেকে ২ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে। ভুয়ো নথি দিয়ে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ঋণও নিয়েছিলেন দেবাঞ্জন।

আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে ৭০ শতাংশ, উচ্চ মাধ্যমিকে সেকেন্ড ডিভিশন! কেমন রেজাল্ট করেছিল দেবাঞ্জন?