কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে (Kasba Fake Vaccine Case) দেবাঞ্জন দেবকে (Debanjan Deb) জেরা করল ইডি। বৃহস্পতিবার ৪ ঘন্টা প্রেসিডেন্সি জেলে দেবাঞ্জন দেবকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারীরা।
সম্প্রতি বিশেষ ইডি আদালত দেবাঞ্জনকে জেলে গিয়ে জেরার অনুমতি দেয়। সেই অনুমতি নিয়ে জেরা। ইডি সূত্রে খবর, ফের জেরা করা হবে দেবাঞ্জনকে। ভ্যাকসিন মামলায় ধৃতদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বলে খবর। সেক্ষেত্রে বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে। দেবাঞ্জনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথির বিষয়ে জেরা করা হয় এবার।
এর আগে দেবাঞ্জনের সঙ্গীদের জেলে গিয়ে জেরা করেছে ইডি। প্রসঙ্গত, গত ২৬ অগস্ট ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে চার্জশিট পেশ করে কলকাতা পুলিশ। লিপুর আদালতে এক হাজার পাতার এই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব-সহ মোট সাতজনের নাম রয়েছে চার্জশিটে। খুনের চেষ্টা, ষড়যন্ত্র, সম্মিলিত প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে দেবাঞ্জন দেব-সহ বাকিদের বিরুদ্ধে। চার্জশিটে নাম রয়েছে দেবাঞ্জন দেব, রবীন শিকদার, সুশান্ত দাস, শরৎ পাত্র, অরবিন্দ বৈদ্য, অশোককুমার রায়, কাঞ্চন দেব ও শান্তনু মান্নার। ১৩০ জন সাক্ষী রয়েছেন এই মামলায়।
ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের তদন্ত প্রথমে শুরু করেছিল কসবা থানার পুলিশ। পরবর্তী কালে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার হাতে সেই তদন্তভার যায়। দেবাঞ্জন দেব-সহ অনেককেই এই কাণ্ডে গ্রেফতারও করা হয়। এতদিন পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা যে তদন্ত চালিয়েছে, তাতে কী কী তথ্য উঠে এসেছে তার বিস্তারিত এদিন আদালতে জানানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় দেবাঞ্জন দেবের কী ভূমিকা ছিল, টিকার নামে যে ভুয়ো তরল দিনের পর দিন সাধারণ মানুষকে শিবির করে দেওয়া হয়েছে তাতে মূলত কী ছিল তার সমস্ত খতিয়ে দেখা হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে। টিকার ভায়াল পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য।
গত ২২ জুন কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে মোট চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এর মধ্যে একটি মামলা খারিজ হয়ে যায়। জুুলাই মাসেই দেবাঞ্জন কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিয়েছে ইডি। কলকাতা পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পুলিশের কাছে দেবাঞ্জন-কাণ্ডের বিষয়ে একাধিক তথ্য জানতে চাওয়া হয়।
তদন্তে দেখা গিয়েছে বিপুল টাকা আসত দেবাঞ্জনের কাছে। দেবাঞ্জনের টাকার উৎস কোথায়, সেই টাকা কী ভাবে ব্যবহার করা হত? এ সবই তলিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এফআইআর-এর সমস্ত কপি খতিয়ে দেখার পরই দিল্লিতে ইডির বিশেষ কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: কীভাবে কুকুরের বেল্ট দিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন বিপ্লব? ঘটনার পুনর্নিমাণে ধৃতের ফ্ল্যাটেই গোয়েন্দারা
আরও পড়ুন: তৃণমূলের সালিশি সভায় বিজেপি কর্মীকে জমি লিখে দেওয়ার নিদান, না মানায় ভয়ঙ্কর ‘খেসারত’!