কলকাতা: ভুয়ো টিকার চক্রী দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb) কসবার অফিসের কর্মীদের তালিকা তৈরি করছেন গোয়েন্দারা। তদন্তে জানা গিয়েছে, দেবাঞ্জনের কসবার অফিসের ১২-১৩ জন কর্মী কেবল টিকা দেওয়া ও রেজিস্ট্রেশন করানোর কাজে যুক্ত ছিলেন (Kasba False Vaccination Camp)।
দেবাঞ্জনের আয়োজিত বিভিন্ন ক্যাম্পে ভ্যাকসিন দিতেন তাঁরাই। তবে ওই কর্মীরা কি আদৌ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এই ক্যাম্প যে আদতে ভুয়ো, তা কি তাঁরা আদৌ জানতেন? নাকি জেনেবুঝেই ওই সব কর্মীরা এই কাজ করতেন? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ওই অফিসের প্রত্যেক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন গোয়েন্দারা।
এদিকে, টিকা প্রতারক দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ। এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। শুক্রবারই কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন ওই ব্যবসায়ী।
ভুয়ো ভ্যাক্সিনেশন শিবির কাণ্ডের তদন্তে নেমে যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন দেবাঞ্জন দেবের হাত অনেক দূর বিস্তৃত। তাঁর পিছনে প্রভাবশালী যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। ভুয়ো টিকার তদন্তে নেমে একের পর এক তৃণমূলে নেতার নামও প্রকাশ্যে এসেছে। রাজনৈতিক সচেতকদের বক্তব্য যে সমস্ত নেতাদের সঙ্গে দেবাঞ্জনকে দেখা যাচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে তাঁর কীরকম সম্পর্ক, কতটা ঘনিষ্ঠতা, তা পুলিশি তদন্তের বিষয়। কিন্তু এরই মধ্যে প্রকাশ্যে আনল দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় মৌখিকভাবে ট্যাংড়ার এক ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ জানাতে আসেন। তাঁর বক্তব্য, কলকাতা পুরসভার কিছু কাগজপত্র দেখিয়ে বাইপাস সংলগ্ন একটি জায়গায় কমিউনিটি হল তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৯০ লক্ষ টাকা আদায় করেন। তবে এখনও সেখানে কমিউনিটি হল তৈরি হয়নি।
দেবাঞ্জনের কীর্তি প্রকাশ্যে আসার পরই থানার দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। তিনিও যে প্রতারণার শিকার হয়েছেন, তা ভালোই আঁচ করতে পারেন। কসবা থানার পুলিশ ওই ব্যবসায়ীকে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে।