AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kasba Law College Crime: নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে ক্ষত, গলায় স্পষ্ট কামড়ের দাগ, কসবা কাণ্ডে মেডিক্যাল রিপোর্টে শিউরে ওঠার মতো তথ্য

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছিল। সেখানের চিকিৎসকদের বক্তব্য, পুলিশ যখন নির্যাতিতাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে এসেছিল, তাঁর গলায় কামড়ের দাগ ছিল।

Kasba Law College Crime: নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে ক্ষত, গলায় স্পষ্ট কামড়ের দাগ, কসবা কাণ্ডে মেডিক্যাল রিপোর্টে শিউরে ওঠার মতো তথ্য
এই গার্ড রুমেই ধর্ষণ করা হয় ছাত্রীকে।Image Credit: TV9 বাংলা
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2025 | 1:22 PM
Share

কলকাতা: কসবার কলেজে গণধর্ষণের শিকার ছাত্রী। প্রমাণ মিলল মেডিক্যাল রিপোর্টেও। নির্যাতিতার গলায় রয়েছে কামড়ের দাগ। স্তনেও রয়েছে কামড়ের চিহ্ন। শরীরে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। বলপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে ওই যাত্রীকে, তার স্পষ্ট উল্লেখ মেডিক্যাল রিপোর্টে।

কসবার একটি সরকারি কলেজে গণধর্ষণের শিকার এক ছাত্রী। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের প্রভাবশালী নেতা তথা কলেজেরই অস্থায়ী কর্মী। তাঁকে মদত দিয়েছিল আরও দুইজন। পুলিশ ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। এবার নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টে উঠে এল, কী পাশবিক অত্যাচার হয়েছিল তাঁর উপরে।

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছিল। সেখানের চিকিৎসকদের বক্তব্য, পুলিশ যখন নির্যাতিতাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে এসেছিল, তাঁর গলায় কামড়ের দাগ ছিল। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট ছিল। স্তনে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যৌনাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন ছিল। বলপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। তবে শরীরে কোনও ‘ফরেন বডি’র উপস্থিতি মেলেনি।

নির্যাতিতার বিবরণ গ্রহণের সময়ও চিকিৎসকদের কাছে যুবতী উল্লেখ করেছেন যে তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছিল। একজন ধর্ষণ করে, বাকি দুইজন দাঁড়িয়ে ছিল।

গত ২৫ জুন রাতে কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে গণধর্ষণের শিকার হয় প্রথম বর্ষের ছাত্রী। গতকালই নির্যাতিতা তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, কী ঘটেছিল সেদিন। প্রথমে ইউনিয়ন রুমের ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত। যুবতী প্রাণপণে আটকানোর চেষ্টা করছিলেন। হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন। তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হয়, শ্বাসকষ্ট হতে থাকে।

অভিযুক্তদের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও তারা যুবতীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। পরে একটা ইনহেলার এনে দেয়। সাময়িক সুস্থ বোধ করলে, ওই ছাত্রী বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, তাঁকে জোরপূর্বক গার্ড রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। তখন সামনে দাঁড়িয়েছিল বাকি দুই অভিযুক্ত। ধর্ষণের ভিডিয়োও রেকর্ড করে রাখে অভিযুক্ত ব্ল্যাকমেইল করার জন্য। নির্যাতিতার বয়ানেই উঠে এসেছে প্রতি মুহূর্তের বীভৎসতার বর্ণনা।