কলকাতা : বাড়ি থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে রেলের পরিত্যক্ত একটি আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছে অর্জুন চৌরাসিয়ার দেহ। গলায় ফাঁস লাগানো দেহ ঝুলছে। আপাত দৃষ্টিতে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও ওই মৃত্যু ঘিরে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। শুক্রবার বিজেপির র্যালিতে যাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল, সেই যুবক কেন আচমকা রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এমন একটি পরিত্যক্ত জায়গায় আত্মহত্যা করবেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে পরিবার। কোনও সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়নি। ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে পুলিশকর্তাদের একাংশের মনে।
প্রশ্ন ১: দেহ মাটিতে ঠেকে গেলে মারা গেলেন কী করে? এই অবস্থাকে বলা হয় পার্সিয়াল হ্যাংগিং।
প্রশ্ন ২: যদি কিছুর ওপর ভর করে উঠে আত্মঘাতী হন তাহলে সেই জিনিসটি কোথায়?
প্রশ্ন ৩: আত্মহত্যার ঘটনায় জিভ বেরিয়ে যাবেই। এ ক্ষেত্রে ছবিতে তা দেখা যাচ্ছে না।
প্রশ্ন ৩: ভাল পোশাক পরে এসে কেউ কেন আত্মহত্যা করবেন?
অর্জুন চৌরাসিয়ার দেহ প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে দেখেছে পুলিশ। পুলিশ দেখেছে, দেহের মুখ থেকে জিভ না বেরলেও লালারস বেরিয়েছে। বীর্য ও মল বেরিয়েছে। এই অবস্থা দেখে অভিজ্ঞ পুলিশ আধিকারিকরা বলছেনন, আত্মহত্যা হলে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে জিভ বেরিয়ে আসে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে জিভ বেরতে দেখা যায়নি। পুলিশের একাংশ বলছেন, অন্য কেউ মেরে ঝুলিয়ে দিলে এমনটা হতে পারে। বিষ খাইয়ে মারা হলেও এ ভাবে লালাকস বেরিয়ে আসতে পারে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
আবার অন্যদিকে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আত্মহত্যা করলে বীর্য ও মল বেরিয়ে আসে। তাই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলে পুরুষ হোক বা মহিলা উভয় ক্ষেত্রে পুলিশ পরীক্ষা করে বীর্য বা মল বেরিয়ে এসেছে কি না। এ ক্ষেত্রে সেটা হয়েছে। সুতরাং দুটি সম্ভাবনাই রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। আপাতত দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে আরজি কর হাসপাতালে। সেখানে ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে।