কলকাতা: কেষ্টপুরে দুই ছাত্রের খুনের ঘটনায় এবার ময়দানে বিজেপি। বাগুইআটি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। জোড়া খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব হয়েছেন তাঁরা। রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতি তনুজা চক্রবর্তী বলেন, “পুলিশ ইচ্ছা করে গোটা বিষয়টি আড়াল করেছে। পুলিশ ২২-৬ তারিখ পর্যন্ত শুধুমাত্র দুটি ডেডবডি আনতে এসেছে। বসিরহাট এখান থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। পুলিশ ইচ্ছা করে নিষ্ক্রিয় থেকেছে।” উল্লেখ্য, ১২ দিন ধরে বসিরহাট মর্গে রাখা ছিল দুটি দেহ। ১২ দিন পর জানতে পারল বিধাননগর পুলিশ। তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
কেষ্টপুরে দশম শ্রেণির দুই ছাত্রের খুনে তপ্ত রয়েছে এলাকা। পুলিশের হাতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জেরা করে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যায়, অতুন সেকেন্ড হ্যান্ড একটি বাইক কিনতে চেয়েছিল। তাকে সাহায্য করার কথা বলেছিল সত্যেন্দ্র। ২২ অগস্ট বাইক কেনার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোয় অতনু-অভিষেক। মিনাখাঁ থেকে একটি গাড়ি আগেই ভাড়া করে নিজের গ্যারেজে এনে রেখেছিল সত্যেন্দ্র। সেই গাড়িতেই ২২ অগস্ট বের হয় তারা। প্রথমে রাজারহাট যায়, সেখান থেকে বাসন্তী হাইওয়ে। রাস্তাতেই ওই দুই ছাত্রকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
খুন করে মিনাখার স্টোরে গাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছিল আততায়ী। পুলিশ সূত্রে খবর, কর্নাটকের নম্বরপ্লেট দেওয়া গাড়িতেই খুন করেছিল সত্যেন্দ্র। এই গাড়ি সেল্ফ ড্রাইভ সার্ভিসের। সেই গাড়িতেই একেবারে ঠান্ডা মাথায় জোড়া খুন করে সত্যেন্দ্র। রক্ত মুছে গাড়িটি ফিরিয়ে দেয় স্টোরে।
জোড়া দেহ উদ্ধার হয় ৬ অগস্ট। তারপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কেষ্টপুর। অভিযোগ, ২৩ অগস্টেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল অভিষেক-অতনুর পরিবার। কিন্তু পুলিশ কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ওই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছেন। মঙ্গলবার রাতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যান কেষ্টপুরে। কিন্তু অতনুর বাড়ি যাওয়ার আগেই স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে যান। রাতে অবশ্য অতনুর বাড়িতেই যান অদিতি মুন্সী। তাঁকে কোনও বাধার মুখে পড়তে হয়নি। এরপর বুধবার সকালেই বাগুইআটি থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি বিজেপির মহিলা ব্রিগেডের।