কলকাতা: মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল), নবান্নে একটি নতুন ক্যান্টিনের উদ্বোধন করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। উপস্থিত ছিলেন অর্থ সচিব, পঞ্চায়েত সচিব, পিডব্লুডি সচিব, হাওড়ার জেলাশাসক-সহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ অফিসার। এই সরকারি ক্যান্টিন চালাবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। ক্যান্টিনটির নাম দেওয়া হয়েছে খাদ্য ছায়া। এই নামকরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দরিদ্র এবং প্রান্তিক মহিলাদের উন্নত জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলার জন্য রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের আওতায় আনন্দধারা নামে এক প্রকল্প রয়েছে। এই আনন্দধারা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মহিলারাই এই নয়া ক্যান্টিনটি চালাবেন।
প্রাথমিকভাবে এই ক্যান্টিন চালানোর জন্য চারটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে বেছে নিয়েছিল হাওড়া জেলা মিশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট। আগ্রহ এবং সক্ষমতার ভিত্তিতেই ওই চারটি গোষ্ঠীকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এরপর নবান্নে ক্যান্টিন পরিষেবা কারা চালাবে, তা বাছাইয়ের জন্য একটি রাজ্যস্তরের বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তারাই বিশদ প্রক্রিয়ার পর, আমতা ১ ব্লকের অনুলিয়া মিলন সংঘ প্রাইমারি কো-অপারেটিভ সোশাইটি লিমিটেডকে নবান্নের ক্যান্টিন পরিষেবা চালানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি পণ্য়েই ক্যান্টিনটির অন্দরের সজ্জা করা হয়েছে।
এরপর এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব হোটেল ম্যানেজমেন্ট থেকে রান্নাবান্নার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ২৫ জন দক্ষ সদস্যকে এই ক্যান্টিন চালানোর জন্য বাছাই করা হয়েছে। তাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে হাওড়ার খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ। ক্যান্টিনটি ঠিক মতো চলছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে জেলা এবং রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নিয়মিত নজরদারি করা হবে। এই ক্যান্টিনের পরিকাঠামোগত সহায়তা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পিডব্লুডি বিভাগ। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নবান্নের কর্মীরা যাতে ন্যায়সঙ্গত দামে ভাল মানের খাবার পান, সেই লক্ষ্যেই এই ক্যান্টিন স্থাপন করা হয়েছে।