কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাস বয়কট সংক্রান্ত মামলার মঙ্গলবার শুনানি ছিল আদালতে। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং আরও তিন বিচারপতির বেঞ্চে এদিন এই মামলার শুনানি নয়। এদিন মামলার শুনানিপর্বে আদালতে প্রশ্নের মুখে সিপির রিপোর্ট। সেদিন যে আইনজীবীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন, তাঁদের নাম কেন উল্লেখ নেই সিপির রিপোর্টে, তা নিয়ে প্রশ্ন আদালতের। আদালতের বক্তব্য, পুলিশ স্বীকার করেছে কোনও আইনজীবী গিয়ে ওই পোস্টার সাঁটিয়েছেন। কিন্তু সিপি এই তথ্য কোথা থেকে পেলেন সেটি স্পষ্ট নয় বলেই মনে করছে আদালত। উল্লেখ্য, জাহিদ হুসেন ও মোহাম্মদ ইকবাল প্রেসে এই পোস্টার ছাপা হয়েছিল। এক আইনজীবী তাঁদের ক্ষোভ জানানোর জন্য ওই বিচারপতির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে যান বলে পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছে।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, কলকাতার পুলিশ কমিশনার নতুন করে রিপোর্ট জমা দেবেন ওই আইনজীবীদের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তারা প্রিন্টিং প্রেসের মালিককে ডেকেছিল। তারা জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে জানিয়েছে, ফ্লাইং ক্রেতাদের পোস্টার ছাপানোর কথা। এফএসএল রিপোর্টে মিল পাওয়ার পর বিষয়টি চিহ্নিত করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে ছয়জন অভিযুক্তর আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল পোস্টার সাঁটানোর জন্য। তাঁরা পয়সার জন্য পোস্টার লাগিয়েছে। কিন্তু সেখানে কী বিষয়বস্তু রয়েছে, তা তাঁরা জানতেন না।
এদিকে বার কাউন্সিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ভিডিয়ো দেখে কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছে। জাতীয় ও রাজ্য বার কাউন্সিলকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত নামগুলি নিজেদের মধ্যে আদান প্রদান করে আলোচনা করার জন্য। দুই সপ্তাহের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করতে বলেছে আদালত।