কলকাতা: পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) মানেই রক্তগঙ্গা? ভোট পর্বে লাগাতার হিংসার ছবি সামনে আসতেই এই প্রশ্নই বারবার উঠছে রাজনৈতিক মহলে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হতেই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। পাশাপাশি ৮ জুন ভোট ঘোষণার পর থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে ভোটের বলি ১৮। এখনও পর্যন্ত মোট সংখ্য়া ৩৫। যদিও নির্বাচন কমিশনের তথ্য় বলছে ভোটের দিন রাজনৈতিক কারণে মৃতের সংখ্যা ৩। তবে ইতিহাস বলছে, এবারই প্রথম নয়। বিগত দুই দশকে পঞ্চায়েত ভোটে লাগাতার হিংসার সাক্ষী থেকেছে বাংলা।
২০০৩ সালেও বাম আমলে পঞ্চায়েত ভোটে দেদার হিংসার সাক্ষী ছিল বাংলার মানুষ। অসমর্থিত সূত্রে খবর, ওই বছর পঞ্চায়েত ভোটের হিংসায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছিল ৮০ জনের। খাতায়-কলমে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৭। হিংসার ছবি ফিরেছিল ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটেও। বাম আমলের শেষ পঞ্চায়েত ভোটে অসমর্থিত সূত্রে মৃতের সংখ্যা ছিল ৪৫। খাতায়-কলমে সেই সংখ্যা ছিল ১০।
এরইমধ্যে পালাবদল হয়ে গিয়েছে বাংলায়। তৃণমূল জমানার শুরু থেকেই ব্যাপক হিংসা দেখা গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে বাংলায় মৃত্যু হয়েছিল ৩১ জনের। খাতায়-কলমে মৃত্যুর সংখ্য়া ছিল ১৩। ২০১৮ সালের অসমর্থিত সূত্রে মৃতের সংখ্যা ছিল ৭৫। খাতায়কলমে সেই সংখ্যা ছিল ১৪।