কলকাতা: দূরপাল্লার ট্রেনে (Train) যাতায়াতের ক্ষেত্রে আসন বণ্টন নিয়ে প্রায়শই নানা অভিযোগ সামনে আসে। অনেক ক্ষেত্রেই বহু যাত্রী অভিযোগ করেন, তাঁদের সঙ্গে থাকা সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য লোয়ার বার্থ বুক করতে চাইলেও তাঁরা তা পান না। আপার বার্থে ওঠানামার ক্ষেত্রে বয়ষ্ক যাত্রীদের প্রায়শই নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। সমস্যার সমাধান কোথায়? এই প্রশ্ন প্রায়শই করতে দেখা যায় বহু যাত্রীদের। রেল বলছে, টিকিট বুকিংয়ের (Ticket Booking) সময় আপনি আপনার পছন্দসই বার্থ বুক করতে পারেন। কিন্তু, বুকিং কনফার্ম তখনই হবে যখন তা সহজলভ্য থাকবে। যদি লোয়ার বার্থ ফাঁকা থাকে বুকিংয়ের সময় তবেই আপনি তা পাকাপাকিভাবে বুক করতে পারবেন। রেলের সাফ বক্তব্য, এই বুকিং প্রসেস পুকোটাই হয় কম্পিউটার সিস্টেমের মধ্য দিয়ে। তবে ট্রেনে ওঠার পর খুবই অসুবিধার মধ্যে মধ্যে পড়লে কর্তব্যরত টিটিই-র সঙ্গে কথা বলারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে রেলের তরফে।
ওই কোচে বা ট্রেনের অন্যত্র কোনও লোয়ার বার্থ ফাঁকা থাকলে টিটিই তা দেখে যে যাত্রীদের প্রয়োজন রয়েছে তাঁদের তা দিয়ে দিতে পারেন। নিয়ম বলছে, ট্রেনের প্রতি স্লিপার কোচে ৬টি লোয়ার বার্থ থাকে সিনিয়ন সিটিজেনদের জন্য। এসি-৩ টায়ার ও এসি-২ টায়ার কোচে তিনটি লোয়ার বার্থ বরাদ্দ থাকে। অন্যদিকে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্ব মহিলা যাত্রী ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য রাজধানী, দুরন্তের মতো সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত দ্রুতগতির ট্রেনগুলিতে এসি-৩ টায়ারে প্রতি কোচে ৪টি করে লোয়ার বার্থ বরাদ্দ থাকে। সেখানে সাধারণ দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে এই জাতীয় কোচে বরাদ্দ থাকে ৩টি করে লোয়ার বার্থ।
তবে রেলের তরফে বারবারই বলা হচ্ছে চলন্ত ট্রেনে কারও খুব সমস্যা হলে, কোনও বিশেষভাবে সক্ষম মানুষের যদি সমস্যা হয়, কোনও গর্ভবতী মহিলার যদি প্রয়োজন হয় তবে টিটিইকে বললে তা তিনি অন্য ফাঁকা লোয়ার বার্থ আসনের সঙ্গে অদলবদল করে দিতে পারেন।