কলকাতা: বন্ধ দোকান ঘর থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য বেহালা রায়বাহাদুর রোডের চণ্ডীতলা এলাকায়। মৃতের নাম প্রকাশ সর্দার (৫৪)। তিনি পেশায় রিক্সাচালক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ওই দোকান ঘরটি দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় দোকানঘরের শাটার অর্ধেক খোলা ছিল। তাতে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তাঁরা তখন দোকানঘরের মধ্যে উঁকি দিয়ে দেখেন ওই ব্যক্তি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। প্রকাশ অবিবাহিত ছিলেন। কী কারণে এই মৃত্যু, এখনও পর্যন্ত জানা যায় নি। বেহালা থানার পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
এদিকে, শনিবার সকালেই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত সখেরবাজার এলাকা। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে এসইউসিআই। থানায় জমা দেওয়া হয় স্মারকলিপিও। ঠাকুরপুকুর থানায় স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়।
শনিবার সখেরবাজার মোড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলইউসিআই কর্মীরা। ওই মহিলার খুনে আততায়ীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে, এমনটাই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার বেহালার সখের বাজার এলাকায় ডায়মন্ড হারবার রোডের কাছে ফুটপাথ থেকে সন্ধ্যা সর্দার নামে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। ৫২ বছর বয়সি ওই মহিলাকে এ দিন ফুটপাথের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। সকালে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপর ঠাকুরপুকুর থানায় তাঁরাই খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে ওই মহিলার বাড়ি হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত ৩৯/৪ ভুবনমোহন রায় রোডে। মহিলা যেখানে থাকেন তার আশেপাশের বাড়ির লোকজনের বক্তব্য, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। বেহালা ঠাকুরপুকুর টালিগঞ্জ এলাকায় একা একা ঘুরে বেড়াতেন তিনি। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর পিছনে কী উদ্দেশ্য আছে, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।
সকালে ওই দেহ উদ্ধার হওয়ার পর, সন্ধেয় ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। রয়েছেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মূরলীধর শর্মা। যে জায়গা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তার পিছনে রয়েছে একটি নির্ণীয়মান বাড়ি। সেখানে প্রবেশ করে সব কিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কিছুদিন আগেই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে এই বেহালায়। গত ৬ সেপ্টেম্বর বেহালা পর্ণশ্রীর সেনপল্লির এক আবাসন থেকে মা ও ছেলের গলা কাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, ঘটনার দিন দুপুরে সুস্মিতা নামে ওই মহিলার বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁর দুই মাসতুতো ভাই সঞ্জয় দাস ও সন্দীপ দাস। তাদের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: একতলার ঘরে পড়ে শিক্ষকের দেহ, আরও এক অস্বাভাবিক মৃত্যু খাস কলকাতায়