বিছানায় শুয়ে রয়েছেন, জানলা দিয়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারকে দেখে তাই মনে করেন প্রতিবেশীরা, ভুল ভাঙল পরে!

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 16, 2021 | 7:08 AM

Kolkata: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আশিস ফিলিপ গোমস ডক্টরস লেনের বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁর পরিবার অন্যত্র থাকত।

বিছানায় শুয়ে রয়েছেন, জানলা দিয়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারকে দেখে তাই মনে করেন প্রতিবেশীরা, ভুল ভাঙল পরে!
তালতলায় প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

কলকাতা: বাড়িতে একাই থাকতেন। তাই দোকানপাট থেকে শুরু করে বাজার, বিভিন্ন কাজ- তাঁকেই সব কিছু করতে দেখা যেত। রবিবারের পর থেকে আচমকাই তাঁকে দেখতে পাচ্ছেন না প্রতিবেশীরা। কাজে অন্যত্র যেতে পারেন, এই ভেবে প্রথমে বিশেষ আমল দেননি। কারণ আগেই মাঝেমধ্যে কাজে বাইরে যেতেন তিনি। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে এলাকায় পচা গন্ধ বেরোতে থাকে। গন্ধের উত্স খুঁজে স্থানীয়রা বিপদ আঁচ করতে পারেন। খবর যায়, পরিবার-পুলিশের কাছে। দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় পেশায় ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এক প্রৌঢ়ের পচাগলা দেহ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য তালতলা (Taltala) এলাকার ডক্টরস লেনে। মৃতের নাম আশিস ফিলিপ গোমস (৫১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আশিস ফিলিপ গোমস ডক্টরস লেনের বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁর পরিবার অন্যত্র থাকত। বাড়ির সব কাজই একাই করতেন। সে অর্থে পরিচারিকা কেউ ছিলেন না। বাড়িতে বেশিরভাগ সময়ই থাকতেন না তিনি। কাজের সূত্রে বাইরে বাইরেই থাকতেন।

শেষ দুতিন তাঁদের দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীরা মনে করেছিলেন হয়তো কাজেই বাইরে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার থেকেই একটা পচা গন্ধ নাকে আসছিল তাঁদের। বুধবার তা আরও প্রকট হয়। গন্ধের উত্স খুঁজতে গিয়ে প্রতিবেশীরা দেখেন, আশিসের বাড়ির ভিতর থেকেই গন্ধটা ভেসে আসছে।

প্রথমে দীর্ঘক্ষণ আশিসকে ডাকাডাকি করেন তাঁরা। কিন্তু সাড়া পাননি। তখনই বিপদ আঁচ করেন। খবর দেন পুলিশে। খবর যায় আশিসের পরিবারের কাছেও। তাঁর পরিবারের সদস্যরা এসে উপস্থিত হন। ,
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তালতলা থানার পুলিশ।

তালতলা থানার পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করেন। তাঁর দেহে পচন ধরেছিল। আর তাঁর থেকেই গন্ধ ছড়াচ্ছিল এলাকায়। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, আশিসকে রবিবারই শেষ দেখা গেছিল। তারপর থেকেই ঘরের দরজা জানলা বন্ধই ছিল। তাঁরা ভেবেছিলেন বাড়িতে কেউ নেই। তাই প্রথমে খোঁজ খবর করেননি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কী, তা জানার জন্য দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ।

এক প্রতিবেশীর কথায়, “আমরা ওঁকে মাঝেমধ্যেই আগে বাড়িতে থাকতে দেখতাম না। কাজে তো বিভিন্ন জায়গায় যেতেন। এবারও সেটাই ভেবেছিলাম। বাড়িতে একাই থাকতেন। খোঁজখবর করাটা আগে উচিত ছিল। মঙ্গলবার থেকেই গন্ধটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল। পাড়ার মধ্যে এমন একটা ঘটনা ঘটে যেতে পারে, ভাবিনি।”

পুলিশ জানিয়েছে, দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: NCRB Report: উত্তর প্রদেশকে পিছনে ফেলে অ্যাসিড হামলায় শীর্ষে বাংলা!

Next Article