কলকাতা: বাঁশদ্রোণীতে নির্মীয়মান বহুতলে মহিলার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। পুলিশের অনুমান বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁশদ্রোণীর (Bansdroni Murder) কোস্টাল পার্ক এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় গত কয়েক মাস ধরেই নির্মাণ কাজ চলছিল। একটি নির্মীয় মান বাড়ির মধ্যে এক মহিলাকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেই অনেকে কলে জল নিতে এসে বিষয়টি লক্ষ্য করেন। খবর চাউর হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ওই মহিলার শরীরে কোনও সার ছিল না। তাঁকে ডেকেও কোনও সাড়া মেলেনি বলে দাবি স্থানীয়দের। বিপদ আঁচ করেই বাঁশদ্রোণী থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ গিয়ে বাড়ির ভিতর ঢোকে। তার আগে কোনও বাসিন্দাই নির্মীয়মান বাড়ির ভিতর প্রবেশ করেননি। পুলিশ গিয়ে তাঁদেরকে সরিয়ে দেয়।
পুলিশ জানাচ্ছে, ওই মহিলার গায়ে বিদ্যুতের তার প্যাঁপচানো ছিল। তার থেকে অনুমান বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। তবে তা নিশ্চিত হতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রাস্তার লাইটপোস্ট থেকেই তার টেনে নির্মীয়মান ভবনগুলিতে কাজ করা হয়। এক্ষেত্রেও সেটি হচ্ছিল। কোনও তার খোলা অবস্থায় পড়ে থাকতে পারে। তাতে পা জড়িয়েই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।
তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, নেপথ্যে কোনও পরিকল্পিত কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। ওই মহিলার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই মহিলাও নির্মাণ কর্মী কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, “বাড়ির ভিতর দেহটা পড়ে ছিল। মুখ আমরা বাইরে থেকে কেউই দেখতে পাইনি। কিন্তু বিপদ বুঝে আগেই থানায় খবর দিই আমরা। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।”
আরও পড়ুন: ভিকির দুই সঙ্গীকে জেরা করে নয়া তথ্য, কাঁকুলিয়া খুনে নয়া মোড়
আরও পড়ুন: West Bengal School: সময়সীমা ধার্য করে ডেটা জমা দেওয়ার নির্দেশ, স্কুল খুলতে বিকাশ ভবনের উদ্যোগ