কলকাতা: সরাসরি রাজনৈতিক ‘দল’ তৈরি করলেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি( Abbas Siddiqui)। ‘দল’ বলা হলেও এই নতুন সংগঠনটির নাম- ‘ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট’ (Indian Secular Front)। এই ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আব্বাসের ২৬ বছর বয়সী ভাই নওসাদ সিদ্দিকি, সভাপতি শিমুল সোরেন।
‘ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট’-এর সূচনা করে আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য অসহায় মানুষের কন্ঠ হয়ে সমাজের মূল দিকে আনা। আগামী দিনে ব্রিগেডে সভা হবে। সেখানে আরও বেশি মানুষকে জানানো হবে।” ২৬ জানুয়ারি থেকেই শুরু হবে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের রাজনৈতিক কর্মসূচি।
আব্বাস এদিন আরও বলেন, “সাংবিধানিক গণতন্ত্র, সামাজিক মর্যাদা আমাদের দলের মূল লক্ষ্য। স্বাধীনতার পর থেকে বহুদল তৈরি হয়েছে। কিন্তু সংবিধানের প্রথম যে শর্ত তা থেকে বঞ্চিত অনেকেই। পিছিয়ে পড়া ও সংখ্যালঘুরা এখনও অন্ধকারে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-অন্ন-বাসস্থান এই চারটি বিষয় নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য।”
জেলাতেও সংগঠন তৈরি করতে তাঁরা তৎপর বলে এদিন জানিয়েছেন আব্বাস। এদিনই তিনি ঘোষণা করেন, ‘জেলাস্তর থেকে ভিত মজবুত করতে হবে। আমাদের কর্মীরা একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেবেন।’
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই আব্বাসের গলায় ধরা পড়েছিল আত্মবিশ্বাসের সুর। তিনি বলেন, “যদি ৫০-৬০ টি আসন চলে আসে, তাহলে আমরাই রাজ্যের ভবিষ্যৎ ঠিক করব। আমরা যাঁর পাল্লায় উঠব, তিনিই মুখ্যমন্ত্রী।” তিনি এও বলেছিলেন, “আমি কিং মেকার। আমিই প্রার্থী তৈরি করি।”
প্রসঙ্গত, দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘুদের নিয়েই এই ফ্রন্ট। একুশের নির্বাচনে ৬০-৮০ আসনে প্রার্থী দেবে আব্বাসের ‘ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট’। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সংগঠন আত্মপ্রকাশ করায় কিছুটা হলেও আশঙ্কিত তৃণমূল। কারণ, সংখ্যালঘুদের ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটের একটা বড় অংশ হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই আশঙ্কা সত্যি হলে বিজেপির ‘পৌষ মাস’ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, সেক্ষেত্রে ভোট কাটাকাটিতে বিশেষ সুবিধা পেতে পারে গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আব্বাস ক্রমশ ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছেন একুশের হাইভোল্টেজ নির্বাচনে। তাই তাঁর প্রতিটি রাজনৈতিক পদক্ষেপের ওপর নজর রাখছে তৃণমূল-বিজেপি-কংগ্রেস-বাম সব পক্ষই।