Kolkata Airport: এয়ারপোর্টের কাছেই ছিল অফিস, রোজ আসতেন, অথচ কেউ টের পাননি ‘ওঁরা কারা’, পালানোর আগেই বোর্ডিং গেট থেকে গ্রেফতার

Ranjit Dhar | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Apr 03, 2024 | 1:58 PM

Kolkata Airport: বিমানবন্দর থানা সূত্রের খবর, বিহারের ভাগপুরের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন। তিনি ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারি মাসে মণিরুল নামের এক যুবকের মাধ্যমে জানতে পারেন, এয়ারপোর্ট থানার অন্তর্গত শরৎ কলোনির একটি অফিসে ভিসা তৈরি করে দেওয়ার কাজ হয়। সাদ্দাম দুবাইয়ের ভিসার জন্য আবেদন করেন।

Kolkata Airport: এয়ারপোর্টের কাছেই ছিল অফিস, রোজ আসতেন, অথচ কেউ টের পাননি ওঁরা কারা, পালানোর আগেই বোর্ডিং গেট থেকে গ্রেফতার
অভিযুক্ত চারজন
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: চেয়েছিলেন দুবাইয়ের ভিসা। কিন্তু এসে গিয়েছে নাকি মালয়েশিয়ার। আর দুবাইয়ের ভিসা পেতে গেলে দিতে হবে অতিরিক্ত আরও পঞ্চাশ হাজার টাকা। এরপরই সন্দেহ হয় ব্যক্তির। বিমানবন্দর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই গ্রেফতার চারজন। অভিযুক্তদের নাম রফি আহমেদ (৪১)। বাড়ি আসানসোলে। আবদুল্লাহ কাফি (৩০)। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদে। এছাড়া রয়েছে অয়ন প্রসাদ শাহ (৫৭) বিহারের বাসিন্দা, ও পাজরা পালত ফিরোজ (৪৫)। তিনি কেরলের বাসিন্দা। বুধবার ধৃতদের ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করা হবে।

বিমানবন্দর থানা সূত্রের খবর, বিহারের ভাগপুরের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন। তিনি ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারি মাসে মণিরুল নামের এক যুবকের মাধ্যমে জানতে পারেন, এয়ারপোর্ট থানার অন্তর্গত শরৎ কলোনির একটি অফিসে ভিসা তৈরি করে দেওয়ার কাজ হয়। সাদ্দাম দুবাইয়ের ভিসার জন্য আবেদন করেন। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, প্রসেসিং ফি বাবদ ৭০ হাজার টাকা এবং মেডিক্যাল চেকআপের জন্য ১০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। তিনি তা জমাও করেন।

কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ভিসা না মেলায় পুনরায় শরৎ কলোনির অফিসে পৌঁছন তিনি। রফি আহমেদ এবং আবদুল্লাহ কাফির সঙ্গে দেখা করেন। জানতে চান ভিসা কবে মিলবে। কিন্তু তাঁরা জানায় দুবাইয়ের ভিসার পরিবর্তে মালয়েশিয়ার ভিসা চলে এসেছে। অভিযোগ, সংস্থার মালিক জানায়, দুবাই ভিসার জন্য আরও পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হবে। নইলে মিলবে না ভিসা। এরপরই সাদ্দাম বোঝেন এরা প্রতারণা করছে তাঁর সঙ্গে। আর দেরি না করে বিমানবন্দর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে,’রিক্রুট ওয়ার্ল্ড প্রাইভেট লিমিটেড’ একটি ভুয়ো সংস্থা খুলে চাকুরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করছিলেন বেশ কয়েকজন। এমনকী লোক ঠকানোর কাজের সঙ্গে যুক্ত। এরপর রফি ও আবদুল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে এই চক্রের মূল পান্ডা কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিকেল সাড়ে চারটের বিমান ধরে বেনারস যাবেন। তখনই নেতাজি সুভাষ চন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের বিষয়টি জানানো হয়। এরপর ফিরোজ ও অয়নকেও গ্রেফতার করা হয়।

আজ ধৃতদের ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করা হবে। নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৪১৯ ব্যক্তিত্বের দ্বারা প্রতারণা , ৪২০ প্রতারণা, ৪৬৮ প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি, ৪৭১ জাল নথিকে আসল হিসেবে ব্যবহার করা ১২০বি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ধারায় মামলার রুজু করা হয়েছে।

Next Article