Kolkata Airport: বিমানে মাঝ আকাশে অজ্ঞান হওয়ার ‘নাটক’! ব্যাংকক-ফেরত রনিতার ব্যাগেই ছিল ‘আসল গুপ্তধন’

Kolkata Airport: রনিতা রায় নামে ওই মহিলা যাত্রী আজ ব্যাংকক থেকে কলকাতায় আসছিলেন। বিমান বন্দর সূত্রে খবর, ইন্ডিগো উড়ান সংস্থার ৬ই১০৫৮ বিমানে ছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকাই মাঝ আকাশে অসুস্থতার 'ভান' করেন ওই যাত্রী। সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে যান বিমানের ভিতরে।

Kolkata Airport: বিমানে মাঝ আকাশে অজ্ঞান হওয়ার 'নাটক'! ব্যাংকক-ফেরত রনিতার ব্যাগেই ছিল 'আসল গুপ্তধন'
কলকাতা বিমানবন্দরImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 01, 2024 | 9:38 AM

কলকাতা: সোনা পাচারের অভিনব কৌশল! নাটকের এক সা… মাঝ আকাশে আচমকা সংজ্ঞা হারানোর ‘নাটক’। কিন্তু এতকিছুর পরও শেষ রক্ষা হল না। কলকাতা বিমান বন্দরে কর্তব্যরত শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের হাতে সোনা-সহ আটক এক মহিলা যাত্রী। উদ্ধার হয়েছে চারটি সোনার বিস্কুট। যার মোট ওজন প্রায় আড়াই কিলো এবং বাজার দর আনুমানিক ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। শেষ পর্যন্ত ওই মহিলা যাত্রীকে গ্রেফতার করা হয় এবং আগামিকাল তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে বলে খবর। কিন্তু কীভাবে ধরা পড়ল ওই মহিলা যাত্রী?

জানা যাচ্ছে, রনিতা রায় নামে ওই মহিলা যাত্রী আজ ব্যাংকক থেকে কলকাতায় আসছিলেন। বিমান বন্দর সূত্রে খবর, ইন্ডিগো উড়ান সংস্থার ৬ই১০৫৮ বিমানে ছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকাই মাঝ আকাশে অসুস্থতার ‘ভান’ করেন ওই যাত্রী। সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে যান বিমানের ভিতরে। সঙ্গে সঙ্গে বিমানের কেবন ক্রু’রা বিষয়টি পাইলটকে জানান। ব্যাংকক থেকে কলকাতাগামী ওই বিমানের পাইলটও দ্রুত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মেডিকেল এমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি চাওয়া হয়।

এমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি পেতেই বিমানটি দ্রুত নেমে আসে কলকাতা বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরে নিযুক্ত মেডিক্যাল টিম ওই মহিলা যাত্রীকে নিকটবর্তী হাসপাতালে রেফার করে দেন। সেই মতো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে ওই মহিলা যাত্রীর হাবভাব দেখে সন্দেহ জাগে শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের। সূত্রের খবর, এরপর শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা জানিয়ে দেন, ওই মহিলার চিকিৎসা বিমানবন্দরেই করতে হবে। এদিকে কিছু সময়ের মধ্যেই ওই মহিলার জ্ঞান ফেরে।

এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে বেশ কিছু তথ্য। যেমন তিনি মাসে তিন বার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। কিন্তু কী কারণে এক মাসে এত বার বিদেশ ভ্রমণ, তাঁর পেশা কী? সেই সব প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেনি ওই মহিলা বিমানযাত্রী। উত্তরে অসামঞ্জস্য ধরা পড়তেই তাঁকে তল্লাশি চালানো হয়। আর সেই তল্লাশিতে উদ্ধার হয় এই ‘সোনার খনি’।