Raj Bhavan: রাজভবনের তিন কর্মীর আগাম জামিন মঞ্জুর, শ্লীলতাহানি কাণ্ডে কী ভূমিকা ছিল তাঁদের?
Raj Bhavan: ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দেন ওএসডি এসএস রাজপূত, পিয়ন সন্তলাল ও কর্মী কুসুম ছেত্রী। ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে আগাম জামিন মঞ্জুর করেন মেট্রোপোলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কৌস্তভ মুখোপাধ্যায়।
কলকাতা: রাজভবনকাণ্ডে তিন কর্মীর আগাম জামিন মঞ্জুর করল ব্যাঙ্কশাল আদালত। মঙ্গলবার দ্বিতীয়বার এই তিনজনকে হেয়ারস্ট্রিট থানায় হাজির করা হয়েছিল। ১৫মে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। এফআইআর-এ নাম ছিল তিন জনের। ১৭মে প্রথমবার তলবেও হাজিরা এড়ান তিনজন। মঙ্গলবার দ্বিতীয়বার সমন জারি করা করা হয়। তার আগেই ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দেন ওএসডি এসএস রাজপূত, পিয়ন সন্তলাল ও কর্মী কুসুম ছেত্রী। ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে আগাম জামিন মঞ্জুর করেন মেট্রোপোলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কৌস্তভ মুখোপাধ্যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১ ও ১৬৬ ধারায় মামলা করা হয়।
রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগকারিনী বয়ান অনুযায়ী, ঘটনার দিন রাজভবন থেকে বেরোতে বাধা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। যাঁরা তাঁকে বাধা দিয়েছিলেন, তা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দিতে জানিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে হেয়ার স্ট্রিট থানা পুলিশের কাছে যে এফআইআর দায়ের করেছিলেন নিগৃহীতা, সেখানেও এই তিন জনের নাম ছিল।
এরপর তদন্তের জন্য বারবার তলব করা হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু তাঁরা হাজিরা এড়িয়ে যান। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে, এই আশঙ্কায় তাঁরা ব্যাঙ্কশাল আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়। উল্লেখ্য, হেয়ার স্ট্রিট থানার শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তা সাংবাদিক বৈঠক করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। এরপর রাজভবনের তরফ থেকেই বিবৃতি জারি করা হয়। রাজভবনের কর্মীদের উদ্দেশেই ছিল সেই নোটিস। তাতে বলা হয়েছিল, রাজভবনের কোনও কর্মী যাতে পুলিশি তদন্তের মুখোমুখি না হোন।