কলকাতা: এক জনের দেহ খাটের ওপর পড়ে। আরেক জন সিলিং ফ্যানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন। ঘর সাজানো গোছানো। কোথাও অশান্তির এক ফোঁটা চিহ্ন নেই। এমনকি বিছানার চাদরটাও টান টান করে পাতা। ঠিক এই ভাবেই তথ্যপ্রযুক্তি নগরীর বহুতল আবাসনের তিন তলা ঘর থেকে এক যুবক ও যুবতীর দেহ উদ্ধার হল। মৃতদের নাম দেবাশিস দাশগুপ্ত ও শুভদীপ্তা গুহ। দুজনেই বয়স চল্লিশের মধ্যে।
নয়াপট্টির ওই আবাসনে তিন তলার ঘরে গত মাসেই নাকি ভাড়া এসেছিলেন দেবাশিসরা। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ফ্ল্যাটে আসার পর খুব যে তাঁরা লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন, তা নয়। তবে প্রাথমিক কথাবার্তায় তাঁরা জানতে পেরেছিলেন, আগে দেবাশিসরা চেন্নাইতে থাকতেন।
চেন্নাইতে দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে থেকেছেন তাঁরা। গত ১৬ জুলাই নয়াপট্টির ফ্ল্যাটে আসেন। তবে তাঁরা কী কাজ করতেন, তা পরিষ্কার নয় প্রতিবেশীদের কাছেই। গত মঙ্গলবার থেকে ফ্ল্যাটের দরজা টানা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরাই ইলেক্ট্রনিক্স থানায় খবর দেন। দেহ উদ্ধার করে ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ।
তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, আর্থিক অনটনে শুভদীপতা গুহ বিশ্বাসকে খুন করে আত্মঘাতী’ হয়েছেন দেবাশীষ দাশগুপ্ত। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। সমস্ত বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ থাকার সম্ভাবনা নেই। তবুও গোটা বিষয়টি দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: ফের জোড়া ফলায় সিঁদুরে মেঘ বাংলায়! উদ্বেগ বাড়িয়ে কী জানাল আবহাওয়া দফতর?