কলকাতা: চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলায় (Cheat Fund Case) কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এজলাসে হাজিরা দিলেন ডিজি মনোজ মালব্য (DG Manoj Malaviya)। চলতি মাসের ২ তারিখ চিটফান্ডের মামলায় একাধিকবার ডেকেও পুলিশের তরফে কোনও কৌঁসুলি না আসায় রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে ব্যক্তিগত ভাবে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ২১ সেপ্টেম্বর তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। চিট ফান্ড মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ডিজির সহযোগিতা চাইল হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ২১ ডিসেম্বর।
বিভিন্ন মামলায় রাজ্যের আইনজীবী হাজির না থাকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। বিশেষ করে জনস্বার্থ মামলা এবং চিটফান্ডের মামলায় সরকারি কৌঁসুলি হাজির না থাকায় বিরক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন ডিজি মনোজ মালব্যকে আদালত বলে, চিট ফান্ড মামলায় যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। অথচ তাঁদের ডাকা হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এদিন ডিজির পক্ষ থেকে তাঁদের ভুলের জন্য সরাসরি ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়।
যদিও সরকারি আইনজীবী বলেন, ২০১৬ সাল থেকে মামলাগুলো চলছে। সেক্ষেত্রে তার নথি পাওয়া যাচ্ছে না সব সময়। তাই রিপোর্ট দেওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে একজন নোডাল অফিসারকে রাখলে বিষয়টি সুরহা হবে বলে পরামর্শ দেন বিচারপতি রাজেশ বিন্দল।
মূলত চলতি মাসেই রাজ্যের নতুন ডিজি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন মনোজ মালব্য। গত মাসের শেষে ডিজি হিসাবে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয় বীরেন্দ্রর। ফলে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই কাউকে ডিজি হিসাবে দায়িত্ব নিতে হত। সেই মতো ৩১ অগস্ট রাজ্যের নতুন ডিজির দায়িত্ব নেন মনোজ মালব্য।
৩১ অগস্ট রাজ্যের ডিজি হিসাবে দায়িত্ব নেন মনোজ মালব্য। আর নব নিযুক্ত ডিজিকে হাইকোর্টের তলবের মুখে পড়তে হয় ২ সেপ্টেম্বর। তবে সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান রাজ্যের কৌঁসুলি কিশোর দত্ত। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দেয়।
রিয়েল সানরাইজ কেমটেক লিমিটেড ও সানপ্ল্যান্ট অ্যাগ্রো লিমিটেড- এই দুটি ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার মামলায় আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের আইনজীবী হাজির না থাকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট।
১৯৮৬ সালের আইপিএস ব্যাচের অফিসার ছিলেন মনোজ মালব্য। গত কয়েক বছরে ডিজি, আইডিপি (অর্গানাইজেশন)–এর দায়িত্ব সামলে আসছিলেন তিনি। কেন্দ্রের অনুমোদন নিয়েই ডিজি নিয়োগ করে রাজ্য। সেক্ষেত্রে বীরন্দ্র অবসরের সময় এগিয়ে আসতেই রাজ্যের তরফে ৬টি নামের প্রস্তাব পাঠানো হয়।
এই তালিকায় নাম ছিল মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা আধিকারিক বিবেক সহায়-সহ সুমনবালা সাহু, নীরজ নয়ন পাণ্ডে, অধীর শর্মী, গঙ্গেশ্বর সিংয়ের। প্রথম দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সবুজ সঙ্কেত মেলার অপেক্ষা ছিল। সেই জটিলতা কাটতেই নতুন ডিজি হিসাবে দায়িত্ব নেন তিনি।
আরও পড়ুন: Child Care: শিশু চিকিৎসায় কোন হাসপাতালে কত বেড, তালিকা প্রকাশ করল স্বাস্থ্য দফতর