কলকাতা: নিউটাউন শ্যুটআউটকাণ্ডে (Newtown Gangster Shootout Case) সিআইডি (CID) তদন্তের প্রয়োজন। কারণ এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক যোগ রয়েছে। এবার দাবি তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
শুক্রবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে নিউটাউন শ্যুটআউট কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “নিউটাউনের ঘটনায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন। সরকার সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিয়েছে।” তাঁর আরও দাবি, “শুধু বিরোধীরাই নয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও এই দাবি করেছেন।”
উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে নিউটাউনের সাপুরজির অভিজাত কমপ্লেক্সে এসটিএফের অভিযানে নিহত হয় পঞ্জাবের দুই কুখ্যাত গ্যাংস্টার জয়পাল সিং ভুল্লার ও যশপ্রীত সিং। তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পাক যোগেরও প্রমাণ মিলেছে। পাক মাদকপাচারকারীদের সঙ্গে যোগযোগ ছিল জয়পাল-যশপ্রীতদের, দাবি তদন্তকারীদের। পাকিস্তানের কাদের সঙ্গে যোগ ছিল, তা খতিয়ে দেখছে বঙ্গ এসটিএফ ও পঞ্জাব পুলিশ।
পাকিস্তান যোগের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল পঞ্জাবের ডিজিপির কথাতেই। তারা আন্তর্জাতিক ড্রাগ পাচার সঙ্গে যুক্ত। ০১৪ সাল থেকেই কার্যত ফেরার ছিল জয়পাল সিং ভল্লার। বুধবারই সেকথা জানিয়েছেন পঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি। তবে আড়ালে থেকেই পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, রাজস্থানে অপারেশন চালাচ্ছিল জয়পাল। ২০১০ সাল থেকে জয়পালের অপরাধ জীবন শুরু হলেও, প্রথম দিকে সে ছিল মূলত গ্যাংস্টার। পাশাপাশি ডাকাতি, ছিনতাই করত। তবে সাম্প্রতিককালে অর্থাৎ গত তিন চার বছরে সে অনেক বেশি জড়িয়ে যায় আন্তর্জাতিক ড্রাগ পাচার চক্রের সঙ্গে।
পাকিস্তান থেকে ভারতে মাদক ঢোকার সবচেয়ে বড় করিডর হচ্ছে পঞ্জাবের অমৃতসর, সীমান্ত এলাকা। সীমান্তে মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জয়পালের ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়। পুলিশের কথায়, ‘গ্যাংস্টার টার্ন ইন টু অ্যা ইন্টারন্যাশনার ড্রাফ মাফিয়া’ !
আরও পড়ুন: চুক্তিপত্রের কোথাও নামই নেই ভুল্লারদের! সাপুরজির সেই ফ্ল্যাটের আসল মালিকানা নিয়েই গহীন রহস্য
ড্রাগ পাচারের ফাঁকেই তার সঙ্গে পরিচিত হয় আন্তঃরাজ্য বেশ কিছু দুষ্কৃতীর। এর আগেও কলকাতায় এসেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ মনে করছে, কলকাতা এর আগে এসে থাকতে পারে জয়পাল। তবে এবার কলকাতায় আসার আগে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে গা ঢাকা দিয়েছিল। আর সে সূত্র ধরেই তাকে এবার ধরে পুলিশ।