TV9 বাংলা: বানভাসি দক্ষিণবঙ্গ। ডিভিসি না রাজ্য, এই পরিস্থিতির দায় কার তা নিয়ে চাপান উতোর তুঙ্গে। কিন্তু কেন তিন জেলার মানুষের এই দুর্ভোগ? এক নজরে দেখে নেব জলমগ্ন এই এলাকায় ডিভিসির কতটা প্রভাব।
খানাকুল
———
খানাকুল দিয়ে রূপনারায়ণ, দ্বারকেশ্বর ও শীলাবতী নদী বইছে।
ঠাকুরানী চকে দ্বারকেশ্বরের বাঁধ ভেঙেছে। বন্যার জল ঢুকে অন্য বাঁধের ওপর চাপ আরও বেড়েছে।
খানাকুলের বেড়াপাড়া ও পাত্রপাড়ায় বাঁধ ভেঙেছে। এখানে ডিভিসির কোনও প্রভাব নেই।
দ্বারকেশ্বরে হরপা বান জলের মূল কারণ।
ডিভিসির জল মুণ্ডেশ্বরী দিয়ে ঢোকে। সেখানে বাঁধ ভাঙেনি।
হাওড়া
——-
আমতা, উদয়নারায়ণপুর জলমগ্ন।
দামোদর নদীর শেষ অংশ বইছে আমতা ও উলুবেড়িয়া দিয়ে।
এই এলাকায় মূলত মুণ্ডেশ্বরীর জল ঢুকেছে।
তিনদিন আগেই ভেঙেছে আমতার সোহাগড়ি বাঁধ। ফলে আমতা দুই নম্বর ব্লক জলের তলায়।
ঘাটাল
——–
ঘাটালের প্রসঙ্গে বার বার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা ওঠে।
বলা হয় মাস্টার প্ল্যান কার্ষকর হলে জল জমা কমবে।
রাজ্যের অভিযোগ, কেন্দ্রের জন্য ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ হচ্ছে না।
ঘাটালে শীলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙেছে ।
বৃষ্টির জল জমে শীলাবতীর জল বাড়লেও তা বেরনোর রাস্তা নেই। এর জন্যই মাস্টার প্ল্যানের প্রয়োজন।
এই জল সমস্যার সঙ্গে ডিভিসির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।
ডিভিসি-র তরফে অভাবনীয় মাত্রায় জল ছাড়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এটিকে ‘ম্যান মেড’ বন্যা বলে উল্লেখ করেছেন। বুধবার রাজ্যের সেচ দফতরের পক্ষ থেকে ডিভিসিকে একটি চিঠি দিয়ে আগামী ৩-৪ দিন জল ছাড়া বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হয়। যদিও দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে পালটা জানানো হয়েছে, পলি জমে নদীগুলির নব্যতা কমে যাওয়ার কারণে অতিরিক্ত জল ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই জল ছাড়তেই হচ্ছে ডিভিসিকে।
এরই মধ্যে ভয় ধরাচ্ছে আবহাওয়া দফতরের আজকের পূর্বাভাস। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে সব জেলাতেই। দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার ভারী বৃষ্টি হবে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতে। শুক্রবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতেই। আরও পড়ুন: আজকে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস নতুন করে ভয় ধরাল! বানভাসি এলাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসনও