আজকে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস নতুন করে ভয় ধরাল! বানভাসি এলাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসনও
Weather Update: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে সব জেলাতেই।
কলকাতা: উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত। মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। জোড়া ফলায় রাজ্য জুড়ে আগামী ২৪ ঘণ্টা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে সব জেলাতেই। দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় মূলত মেঘলা আকাশ। দু-এক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৩ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.১ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে ২৫ মিলিমিটার।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টি চার জেলায়। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার ভারী বৃষ্টি হবে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতে। শুক্রবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতেই।
ঘাটাল, পশ্চিম মেদিনীপুর
এদিকে, আবারও নতুন করে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ঘাটালবাসীর। দু’দিন ধরে ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছিল, জল কমতে শুরু করেছিল ঘাটালের উঁচু এলাকাগুলিতে। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল ঘাটালের জনজীবন। দু’দিনের ভারী বৃষ্টি এবং আরও দু’দিনের বৃষ্টির পূর্বাভাস আবার আশঙ্কা বাড়িয়েছে ঘাটালের বানভাসি মানুষের। বানভাসি মানুষের দাবি বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়লে আবারও নতুন করে প্লাবিত হতে পারে ঘাটাল।
হুগলি
একই পরিস্থিতি হুগলিতেও। পরপর দু’দিন বৃষ্টি না হলেও বুধবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত প্রশাসনের চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির শিকার বন্যাদুর্গতরা। ফের জল বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরপরে যদি ডিভিসি জল ছাড়ে আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। নতুন করে প্লাবিত হবে মুণ্ডেশ্বরী তীরবর্তী এলাকা। খানাকুলের নতুন করে এখনও জল বাড়েনি। তবে বুধবার থেকে টানা ভারী বৃষ্টিপাতে আশঙ্কা বাড়িয়েছে খানাকুলে।
হাওড়া
এদিকে, ক্রমেই বন্যা পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠেছে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে ও আমতা দু’নম্বর ব্লকে । গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজে গিয়েছিলেন আমতার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে। আমতা সোহাগড়ি মোড়ে এক হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে তিনি দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। এদিকে রাতভর বৃষ্টি ও দামোদর নদীর জল স্তর ক্রমাগতভাবে বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের আজকের পূর্বাভাসে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন দুর্গতরা। আরও পড়ুন: ফের জোড়া ফলায় সিঁদুরে মেঘ বাংলায়! উদ্বেগ বাড়িয়ে কী জানাল আবহাওয়া দফতর?