কলকাতা: বিদ্যুৎ চুরির প্রতিবাদ করায় এক যুবককে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল নারকেলডাঙায়। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছিল। এলাকারই এক যুবক মহম্মদ ওয়াসিম এর প্রতিবাদ করেন। এরপরই সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এদিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ নারকেলডাঙার কাঁসাইবস্তি সেকেন্ড লেনে ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল মহম্মদ শাহিদ ও হায়দার নামে দুই যুবকের দিকে। তাঁরাই ওয়াসিমের উপর বন্দুক নিয়ে চড়াও হন বলে অভিযোগ। গুলি চালানোর চেষ্টা করলেও তাতে সফল না হওয়ায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ। মাথায়, মুখে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ।
আক্রান্ত যুবক মহম্মদ ওয়াসিম বলেন, “মহম্মদ শাহিদ নামে এলাকারই এক যুবক বিদ্যুৎ চুরি করে ব্যবসা করছে। বিভিন্ন বাড়ির মিটার বক্স থেকে বিদ্যুৎ চুরি করা হচ্ছে। সে কারণে এলাকায় ইলেকট্রিক বিলও বেশি আসছে। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে শাহিদ টার্গেট করে নেয়।” এরপরই সন্ধ্যায় তাঁকে লক্ষ্য করে বন্দুক তাক করা হয় বলে অভিযোগ। এমনও অভিযোগ, তিন চারবার বন্দুকের ট্রিগারে চাপ দিলেও যে কোনও কারণেই হোক গুলি বের হয়নি। এরপরই ওয়াসিমকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ওয়াসিমের মাথা ফেটে যায়। রাতেই নারকেলডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সোমবার মহম্মদ শাহিদ ও তাঁর সঙ্গী হায়দারকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছে, ধৃত দুই যুবক স্থানীয় পাটোয়া বাগান এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, দুষ্কৃতী কার্যকলাপের সঙ্গে তাঁদের নাম জড়ায় বিভিন্ন সময়। তাঁরা এলাকায় বিদ্যুৎ চুরি করেন বলেও অভিযোগ। এর ফলে সাধারণ মানুষের মিটারে প্রচুর টাকা বিল আসে। তার প্রতিবাদ করার জন্যই ওয়াসিমকে মার পর্যন্ত খেতে হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে বড় কোনও অভিযোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মঙ্গলবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “প্রতিবাদী আর কেউ নেই। বুদ্ধিজীবীরা চলে গিয়েছেন। আমরা লড়াই করতাম। মেরে, কেস দিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। নির্বাচনে লুঠপাট চলছে। এজেন্ট বসতে দিচ্ছে না, কাউন্টিং এজেন্ট বসতে দেওয়া হচ্ছে না। আসলে রাজ্যজুড়ে অনাচার চলছে। আইনশৃঙ্খলা বলে আর কিছু নেই।”
আরও পড়ুন: Maldah Crime: তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে পুলিশের ‘সন্ত্রাস’, কাঠগড়ায় বৈষ্ণবনগর থানার এএসআই