কলকাতা: দফায় দফায় বিক্ষোভ, ঘেরাওয়ের পরও সমাধানসূত্র মিলল না মেডিকেল পড়ুয়াদের। আর.জি.কর (R G Kar) হাসপাতালে পুলিশের উপস্থিতিতে গভীর রাত পর্যন্ত অধ্যক্ষের ঘরে বৈঠকের পর দাবির একাংশ মেনে নেওয়া হলেও, বেশ কয়েকটি বিষয়ে এখনো কলেজ কর্তৃপক্ষের সম্মতি মেলেনি বলে জানান পড়ুয়ারা।
গভীর রাতেই আর.জি.কর হাসপাতালে আসেন শান্তনু সেন। ছাত্র বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি জানান, আলোচনার মাধ্যমেই রফাসূত্র বেরোবে। যদিও দাবি সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমের কাছে সরাসরি কিছু জানাচ্ছেন না পড়ুয়াদের। তবে সূত্রের খবর, কলেজে বেশ কিছু বিষয়ে অসচ্ছতার অভিযোগ রয়েছে পড়ুয়াদের। পড়ুয়ারা প্রিন্সিপালের পদত্যাগও দাবি করেছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
বৈঠক শেষে আরজিকর মেডিকেল কলেজে আসেন শান্তনু সেন। তিনি বলেন, আরজি কর মেডিকেল কলেজ একটি অন্যতম মেডিকেল কলেজ। সবাই একটি পরিবারের মতো। প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছাত্রীরা প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে দাবি করতেই পারেন।
প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে শান্তনু সেন বলেন, আলোচনা সাপেক্ষে সবকিছুই সম্ভব। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র বেরোয় এবং আরজিকর হাসপাতালে যা গরিমা আছে তা ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে।
আরজিকর হাসপাতালে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয় মঙ্গলবার। অচলাবস্থা কাটাতে এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে প্রবেশের অনুমতি দিতে চায়নি কর্তৃপক্ষ। এরপরই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সরকারি এই হাসপাতাল চত্বর।
ঝামেলার সূত্রপাত সোমবার। বিক্ষোভকারী হবু ডাক্তারদের একাংশ অভিযোগ তোলেন, সম্প্রতি কলেজে একটি ছাত্র ইউনিট গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই ইউনিট গঠনের ক্ষেত্রে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীদের মতামত শোনা হয়নি। অধ্যক্ষ নিজের ‘ক্ষমতাবলে’ সেই ইউনিট গঠন করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা।
আরজিকর সূত্রের খবর, পনেরো দফা দাবির মধ্যে মহিলা ছাত্রীনিবাসের সমস্যা আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে সমাধানের আশ্বাস মিলেছে। নবগঠিত ইউনিট এখনই কার্যকর করা হচ্ছে না। কলেজ কাউন্সিলে হস্টেল সংক্রান্ত বাকি সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা হবে। দীর্ঘক্ষণ ঘেরাওয়ে শিক্ষক-চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে মঙ্গলবার রাতে সাময়িকভাবে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: আজ থেকে সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কোভিশিল্ড প্রদান, রাতারাতি বিজ্ঞপ্তি পুরনিগমের