কলকাতা: আজ, বুধবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। পরে পরবর্তী ৭ দিন তাঁকে নিভৃতবাসে থাকতে হবে।
বর্তমানে তিনি ইন্টারমিটেন্ট বাইপ্যাপ সাপোর্টে আছেন ৷ তবে সামান্য শ্বাসকষ্ট রয়েছে। শুকনো কাশির যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তা আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। মঙ্গলবার মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ৯৬ শতাংশ। ফলে কমেছে কৃত্রিম অক্সিজেনের চাহিদা। নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাঁর রক্তচাপ ৷ হৃদস্পন্দনের গতি প্রতি মিনিটে ৬৪ ৷
গত দু’তিন ধরেই তিনি স্বাভাবিকভাবে খাওয়াদাওয়া করেছেন। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তাঁর রেমডেসিভিরের কোর্স আগেই শেষ হয়েছে। তবে স্টেরয়েড এখনও দেওয়া হচ্ছে ৷
গত ১৮ মে বুদ্ধবাবুর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হবেন না বলে জানিয়ে দেন তিনি। ফলে বাড়িতেই চলছিল চিকিৎসা। গত মঙ্গলবার আচমকাই তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৮৮ তে নেমে যায়। পরে অবশ্য তা বেড়েও যায়। কিন্তু এভাবে অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানাম করতে থাকায় চিন্তিত হয়ে পড়নে বাম নেতৃত্ব তথা চিকিৎসকরাও। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিন্তু স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমাতেই হাসপাতাল যেতে নারাজ ছিলেন বুদ্ধবাবু। বাড়িতে গিয়ে তাঁকে বোঝান সূর্যকান্ত মিশ্র। ইয়াসের আগমন নিয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল, সেই পরিস্থিতিতে আপদকালীনভাবে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোটা জরুরি মনে করছিলেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ভ্যাকসিন বণ্টনে বড় অনিয়মের অভিযোগ, শুভেন্দু বললেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব’
গত মঙ্গলবার তাঁকে কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথম থেকেই চিকিৎসকরা জানিয়ে এসেছিলেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এদিকে, করোনাকে জয় করে বাড়িতে ফিরে এলেও উৎকন্ঠায় ফের হাসপাতালে ভর্তি হন স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। বুদ্ধবাবুর চিকিৎসায় ৭ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মাঝে তাঁর শরীরে সাইটোকাইন ঝড়ের ইঙ্গিত পেয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তা অবশ্য বিশেষ বেগ দেয় নি। শুকনো কাশি হতে শুরু করে। তবে তাও এখন নিয়ন্ত্রণে। তাই বুদ্ধবাবুকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।