গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরির ভুয়ো নিয়োগপত্রও দিয়ে ফেলেছিলেন তিনি! ‘ভুয়ো সিরিজে’ নয়া সংযোজন

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 14, 2021 | 10:44 AM

Kolkata: গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরিতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তিলজলা এলাকার একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছেন কার্তিক।

গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরির ভুয়ো নিয়োগপত্রও দিয়ে ফেলেছিলেন তিনি! ভুয়ো সিরিজে নয়া সংযোজন
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা:  শহরে ‘ভুয়ো সিরিজে’ নয়া সংযোজন। ফের ভুয়ো সরকারি আধিকারিকের হদিশ মিলল কলকাতায়। সরকারি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক যুবককে। ধৃতের নাম কার্তিক শীল। কড়েয়া থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

প্রাথমিকভাবে তদন্তে জানা গিয়েছে, গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরিতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে বটতলার বাসিন্দা কার্তিকের বিরুদ্ধে। তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রতারণার সময়ে কার্তিক নিজের নাম বলতেন ‘কার্তিক শীল রানা’। নিজেকে সরকারি আধিকারিক হিসাবেও পরিচয় দিতেন তিনি।

সূত্রের খবর, গত মাসের শেষের দিকে ডিসি নর্থে অভিযোগ দায়ের হয়। এরপর একই নামে কড়েয়া থানাতেও একটি অভিযোগ দায়ের হয়।  তিলজলার বাসিন্দা মোক্তার আলম অভিযোগ করেন কড়েয়া থানায়। তাঁর অভিযোগ, ছেলেকে চাকরি দেবে বলে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কার্তিক। নিয়োগপত্রও দেন, কিন্তু তা ভুয়ো। তাঁর আরও অভিযোগ, গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরিতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তিলজলা এলাকার একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছেন কার্তিক। এরপরই কার্তিক শীলের খোঁজ নেওয়া শুরু করে পুলিশ। দেখা যায়, কার্তিক নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়েও ঘোরাফেরা করতেন। কার্তিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তবে জেরায় পুরোপুরি অন্য একটি বিষয় দাবি করেছেন কার্তিক। তাঁর দাবি, অভিযোগকারীর সঙ্গে তাঁর পুরনো সম্পর্ক। একটি বিষয়ে আর্থিক লেনদেনও হয়। সেই সংক্রান্ত তথ্য অবশ্য হাতে এসেছে পুলিশেরও। কার্তিকের দাবি, অভিযোগকারীই ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে ফ্ল্যাট আর দেননি। সেই টাকা ফেরত পেতেই চাপ দিচ্ছিলেন কার্তিক। আর তাঁকে পাল্টা ফাঁসিয়ে দিতেই এই ছক কষেছে অভিযোগকারী। পুলিশ এখনও ওই আর্থিক লেনদেনের কাগজও খতিয়ে দেখছে। কী কারণে এই লেনদেন হয়েছিল, তার কারণ খুঁজছে পুলিশ।

কসবার দেবাঞ্জন দেব, বরানগরের সনাতন রায় চৌধুরী, বেলঘরিয়ার রাজর্ষি ভট্টাচার্য – ভুয়ো আইএএস, ভুয়ো সিবিআই কৌসুলী, ভুয়ো আইপিএস- ‘ঠগ’দের এই তালিকায় এখন নবতম সংযোজন কার্তিক। তদন্তকারীরা এবার দেখতে চাইছেন এই কার্তিকের হাত কতদূর লম্বা। দেবাঞ্জন, সনাতনের মতো এরও কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কিনা।

তবে এই ভুয়ো অফিসারের দাবিতে অন্য গন্ধও পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ভুয়ো অফিসারদের তদন্তে নেমে এমন একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। শহর থেকে জেলা- এখন সর্বত্রই নানা ক্ষেত্র থেকে ‘ভুয়ো’দের জালে ফেলছেন তদন্তকারীরা। আরও পড়ুন: বেপরোয়া ক্লাব ভাঙচুর! মুচিপাড়া কাণ্ডে দায়ের হল তৃতীয় এফআইআর

Next Article