কলকাতা: কলকাতার কনটেনমেন্ট জ়োন এই মুহূর্তে ৪৪টি। বহুতল নিয়ে ফের শনিবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এবার পুরসভার বিশেষ নজরে বহুতলের লিফট। মেয়র বলেন, বার বার বলা সত্ত্বেও ফ্ল্যাটের লোকজন কোনওভাবেই সচেতন হচ্ছেন না। তিনি বলেন, যতটা সম্ভব লিফট এড়িয়ে যেতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একান্ত সম্ভব না হলে লিফটে ওঠার আগে স্প্রে করে নিতে বলা হচ্ছে। তাও কেউ কথা শুনছে না। এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বেশিরভাগই ফ্ল্যাটে করোনা হচ্ছে। বলে বলে পারছি না। কিন্তু আমরা বলা ছাড়ব না। বলতেই থাকব। শুনুক না শুনুক আমি বলব দয়া করে লিফটে উঠবেন না। লিফটে ওঠার আগে স্যানিটাইজ করে নিন। একটা স্প্রে হাতে রাখুন। বহুতলের অ্যাসোসিয়েশনগুলোকেও বলেছি বার বার স্যানিটাইজ করতে।”
শনিবার ঘোষণা করা হয়েছে ‘কলকাতা মাস্ক-আপ চ্যালেঞ্জ-এর। মাস্ক পরতে উৎসাহ দিতে নয়া এই ইভেন্ট চালু করেছে কলকাতা পুরসভা। বিস্তারিত রয়েছে তাদের ফেসবুক পেজে। পুলিশের সিসিক্যামেরার মাধ্যমে দেখা হবে রাস্তায় কে কে সর্বক্ষণ মাস্ক পরে রয়েছে। পাশাপাশি মাস্ক পরা ছবি আপলোড করতে হবে সোশাল মিডিয়ায়। এরকম ১০০ জন বা পরিবারকে পুরস্কার দেওয়া হবে। মেয়র নিজে পুরস্কারপ্রাপকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বসবেন। মূলত মাস্ক পরতে উৎসাহ দিতেই এই ইভেন্ট।
ভবানীপুরের ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িকে কনটেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে। ভবানীপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে সেই বাড়ির সামনে গার্ডরেল লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং একটি স্টিকারও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। যাতে কেউ এই গার্ডরেল অতিক্রম না করে।
এর আগে ২৯টি কনটেনমেন্ট জ়োন ছিল। এক লাফে তা বেড়ে ৪৪ হয়ে গিয়েছে। তালিকায় রয়েছে একাধিক বরো। ৪ নম্বর বরোয় ৪ টি, ৭ নম্বর বরোতে ৪ টি, ৯ নম্বর বরোতে ২ টি, ১০ নম্বর বরোতে ১০ টি, ১২ নম্বর বরোয় ১১ টি, ১৪ নম্বর বরোয় ৩ টি, ১৬ নম্বর বরোতে ৫ টি, ৮ নম্বর বরোতে ১ টি এবং ৩ নম্বর বরোতে ৪ টি স্থান মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োন বলে চিহ্নিত হয়েছে। সেই তালিকার মধ্যে রয়েছে, একাধিক বহুতল আবাসনও।
ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, “১০ নম্বর বরোতে সংক্রমণ বেশি। ১০ নম্বর বরোতে সংক্রমণ বাড়ছে কারণ এই বরোতে বড় বিল্ডিং রয়েছে। বরোর সমস্ত কাউন্সিলরদের সঙ্গে বসে আলোচনা করা হবে। অনেকেই নতুন রয়েছেন।” শহরে বেড়েছে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা। পুলিশের তরফে তাই নিয়ম করে এই ধরনের এলাকায় প্রচারও করা হচ্ছে। বাসিন্দাদের সতর্ক করতে এই প্রচার। পুলিশের মোবাইল ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে জানানো হচ্ছে যে কোনও প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কনটেনমেন্ট জ়োন মানে জেল নয়। মানুষকে সচেতন করা আমাদের কাজ। মানুষকে কয়েদ করে রাখা কাজ নয়। মানুষকে সচেতন করছি। সব সময় পুলিশের নজরদারি থাকবে সেটা নয়। কারণ তাঁদেরও পরিবার আছেন।”
আরও পড়ুন: Covid Bulletin: রাজ্যে কিছুটা কমল দৈনিক সংক্রমণ, বেড়েছে মৃত্যু!