কলকাতা: স্কুল আছে, শিক্ষক-শিক্ষিকা আছে অথচ পড়ুয়া নেই। আর পড়ুয়া থাকলেও সেই সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য। আবার অনেক স্কুলের ভবনগুলি একেবারে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তার মধ্যেই কোনক্রমে হাতে গোনা কিছু পড়ুয়াকে নিয়ে স্কুল চলছে। বর্তমানে কলকাতা পুরনিগমের অন্তর্গত একাধিক স্কুলের এমনই হাল। তাই এবার এরকম স্কুলগুলি অন্য পুরসভার স্কুলের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে পুরনিগমের অধীনস্থ জরাজীর্ণ স্কুলগুলিকে অন্য পুরসভার স্কুলের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ইতিমধ্যে জরাজীর্ণ স্কুলগুলি চিহ্নিতকরণের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। ফিরহাদের কথায়, “আপাতত কলকাতার বুকে টি ৬ স্কুল চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু, এই ধরনের অবস্থা হয়ে রয়েছে একাধিক স্কুলের। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে স্কুলগুলির অবস্থা ভালো এবং ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা সঠিক রয়েছে, সেগুলির সঙ্গে চিহ্নিত করা স্কুলগুলিকে মিশিয়ে দেওয়া হবে।”
পুরনিগমের জরাজীর্ণ স্কুলগুলি একসঙ্গে মিশিয়ে দিলে সরকারের অযৌক্তিক ব্যয়ও অনেকটা কমবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। জরাজীর্ণ স্কুলগুলি একসঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি শিক্ষকের বদলি নিয়েও বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমি ব্রাত্য বসুকে বলেছি, প্রয়োজনে শিক্ষকদের ট্রান্সফার করতে হবে। বাড়ির সামনেই যে শুধুমাত্র পোস্টিং পাবে তা নয়।” সবমিলিয়ে, শিক্ষার মান তুলে ধরতে এবং বাংলা মাধ্যমের সরকার অধীনস্থ জরাজীর্ণ স্কুলগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করতে বিশেষ তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার।