কলকাতা: ক্ষমতায় আসার পর পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৮ সালে বাস্তবায়িত হয় সেই পরিকল্পনা। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে প্রবেশ করার জন্য তৈরি হয় স্কাইওয়াক বা বিশেষ ধরনের সেতু। সেই স্কাইওয়াক নাকি ভেঙে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছে রেল। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই গর্জে উঠেছেন মমতা। তিনি থাকতে যে কোনও ভাবেই স্কাইওয়াকের গায়ে হাত দিতে দেবেন না, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ঠিক কী কারণে স্কাইওয়াক ভাঙার প্রশ্ন উঠছে? সেটা বুঝিয়ে দিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
আজ, মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওই প্রস্তাব নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। তিনি বলেন, “আমার রক্ত থাকতে, আমি দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না।” অনেক কষ্ট করে রাজ্য সরকার ওই স্কাইওয়াক তৈরি করেছিল বলেও মন্তব্য করেন মমতা। মনে করিয়ে দেন দক্ষিণেশ্বরের ঐতিহ্যের কথা।
এরপর এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তিনি জানিয়েছেন, ওই মেট্রো প্রকল্পের শুরুতে পরিকল্পনায় কিছু ভুল হয়েছিল। এখন খতিয়ে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছুটা জমির দরকার ছিল। সেই কারণেই রেল একটি চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। কৌশিক মিত্র বলেন, “স্কাইওয়াক ভেঙে কাজ হোক, সেটা রেল কখনও চায়নি। তবে একটা ক্রসওভারের জন্য কিছুটা জায়গা তথা এয়ারস্পেস প্রয়োজন। সেটাই জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তার কোনও উত্তর দেবে না রেল।”
স্কাইওয়াক ভাঙার বিষয়টা গুজব বলেও মন্তব্য করেছেন রেলের আধিকারিক। জানা গিয়েছে, ট্রেন লাইন বদলে উল্টো দিকে যাবে, সেই জায়গা নেই দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে। তার জন্যই ৯০ মিটার এয়ারস্পেস প্রয়োজন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন কৌশিক মিত্র।