কলকাতা: কোভ্যাক্সিন দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতরের টিকা বণ্টন নীতি মানেনি কলকাতা পুরসভা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পর্যবেক্ষণের পরই ‘ভুল’ স্বীকার করে নিলেন পুর প্রশাসক মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অতীন ঘোষ। যদিও পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, “একটা ভুল হয়ে গিয়েছে।” বস্তুত, পুরসভার এই ভুলের জন্যই শহরে কোভ্যাক্সিনের আকাল দেখা গিয়েছিল বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশ।
গত কয়েকদিন ধরেই গোটা কলকাতা জুড়ে কোভ্যাক্সিনের তীব্র আকাল দেখা দিয়েছে। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা সত্ত্বেও কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল, তা অনুসন্ধান করতে সোমবারই একটি বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই উঠে আসে, জুলাই মাসে ৫০ হাজার মানুষকে কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ় দেওয়া হয়েছে। কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন ১ লক্ষ মানুষ। ঠিক এখানেই স্বাস্থ্য নীতি ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে পুরসভার বিরুদ্ধে।
কারণ, রাজ্যের টিকা সঙ্কট মেটাতে গত ২৯ জুন দ্বিতীয় ডোজ়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য নির্দেশ জারি করেছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। কলকাতায় ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ়ের বকেয়া প্রাপকের সংখ্যা যে ৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ২৬৩ হতে চলেছে, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপরও কেন ৫০ হাজার মানুষকে কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ় দেওয়া হল? স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে যায় সেই নিয়ে।
স্বাস্থ্য দফতরের এই পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরলে এ দিন অতীন ঘোষও স্বীকার করে নেন, কোভ্যাক্সিন বণ্টনের নীতিতে ভুল হয়েছিল পুরসভার। ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি জানান, কোভিশিল্ডের অপ্রতুল সরবরাহের কারণে পুরসভার উপর অতিরিক্ত চাপ আসছিল। সেই কারণে স্বাস্থ্য দফতরের নীতি না মেনেই অতিরিক্ত কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে যে পুরসভার ভুল হয়েছে, সেটা স্বীকার করে নিতে কোনও সমস্যা নেই বলেই জানান অতীনবাবু। আগামিদিনে যাতে এই ধরনের ভুল না হয়, তা নিয়ে পুরসভা সতর্ক থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন: মমতার এক অনুরোধেই কাজ, বাংলায় ২১ লক্ষ টিকা পাঠাচ্ছেন মোদী