কলকাতা: নয়া কায়দায় শহরে চলছে এটিএম জালিয়াতি (Kolkata ATM Fraud Case)। গত কয়েক দিনে এর তদন্তে নেমে ঘুম ছুটেছে আধিকারিকদের। তাই শহরের এটিএম গুলিতে নজরদারি বাড়াতে থানাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হল (Kolkata Police)।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,
♦ প্রত্যেক থানা এলাকায় কটা এটিএম কাউন্টার আছে , তার তালিকা তৈরি করতে হবে।
♦ এর মধ্যে কোন কোন এটিএম কাউন্টারে নিরাপত্তা রক্ষী নেই, তা চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
♦ সেই এটিএম কাউন্টারগুলিতে বাড়তি নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।
♦ প্রত্যেক থানার টহলদারি টিম এই নজরদারি চালাবে।
♦ লকডাউনে ফাঁকা রাস্তার সুযোগ নিয়ে আর কোনও টাকা যাতে গায়েব না হয় প্রত্যেক থানার পুলিশ আধিকারিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
♦ যে সমস্ত এটিএম কাউন্টারে নিরাপত্তারক্ষী নেই, সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে সেই বিষয়ে সচেতন করতে বলা হয়েছে।
♦ যেসব এটিএম পুরনো প্রযুক্তিতে চলছে, সেগুলোকে চিহ্নিত করেও ব্যাঙ্কে জানাতে হবে।
♦ এটিএমের সিসিটিভি ক্যামেরা ঠিক মত কাজ করছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হবে।
♦ কোনওভাবে এটিএম হ্যাক হয়ে আছে কিনা, সেদিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে।
লকডাউনে কলকাতায় নতুন পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে এটিএম জালিয়াতি। এটিএম না ভেঙেই চুরি হয়ে যাচ্ছে টাকা। গত কয়েক দিনে এই উপায়ে শহরের তিন প্রান্ত থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা চুরি হয়েছে। তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তদন্তকারীরা জানতে পারেন, নতুন একটি যন্ত্রের সাহায্যে চলছে এই জালিয়াতি। যার সাহায্যে এটিএম থেকে টাকা বের করে নিচ্ছে একটি চক্র। চুরির সময় ব্যাঙ্কের সঙ্গে লিঙ্ক ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে এটিএম-এর। এটিএম থেকে টাকা চুরি হলেও কোনও গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা যাচ্ছে না। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ২৫ এবং ২৮ মে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে।
এটিএমের সফটওয়্যার জালিয়াতি করেই এই গোটা প্রক্রিয়াটি ঘটানো হচ্ছে বলে পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। ঠিক কীভাবে কাজ করছে এই যন্ত্র?
গোয়েন্দারা বলছেন,
♣ এটিএমের সঙ্গে একটি তার যুক্ত করা হচ্ছে।
♣ এরপর সেই তার চক্রটি নিজেদের কাছে থাকা মেশিনটির সঙ্গে জুড়ছে।
♣ এর পরেই নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা তোলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
♣ ঠিক তার বেশি অঙ্কের টাকা এটিএম থেকে অনায়াসেই বেরিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: চিনার পার্কের বিলাসবহুল হোটেলেই ভ্যাকসিনেশন! TV9 বাংলার স্টিং ক্যামেরায় ধরা পড়ল ছবি
গত কয়েক দিনে নিউমার্কেটের একটি এটিএম থেকে এভাবে ১৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। যাদবপুর থানা এলাকার একটি এটিএম থেকে ১৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং কাশীপুর থানা এলাকার একটি এটিএম থেকে ৭ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে।