কলকাতা: আগেরদিন রাতে বাবা-মা পালন করলেন মেয়ের জন্মদিন। আর পরেরদিন সকালে সেই মেয়েই ঘুম থেকে উঠে দেখলেন বিছানার ওপর পড়ে রয়েছে বাবা-মায়ের নিথর দেহ। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছে তাঁদের। পাশে পড়ে রয়েছে ঘুমের ওষুধের খালি পাতা। মাথার সামনে একটি চিরকূট। তাতে লেখা, “স্বেচ্ছায় মৃত্যবরণ করছি। আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন।” হরিদেবপুরের অভিজাত আবাসন থেকে উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতির দেহ।
শহরে আরও একবার নিঃসঙ্গ দম্পতির দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। হরিদেবপুরের অভিজাত আবাসন থেকে বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার হয়। তিন কামরার ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন স্ত্রী প্রণতিকে নিয়ে থাকতেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক আধিকারিক প্রদ্যুৎ লাহিড়ি। তাঁদের একমাত্র মেয়ে মধুমিতা পেশায় স্কুলশিক্ষিকা। কর্মসূত্রে তিনি বেশিরভাগ সময়েই জয়নগরে থাকতেন।
শনিবার ছিল মেয়ে মধুমিতার জন্মদিন। সেদিন কেক কাটা হয়, পরিবারের সকলে একসঙ্গে ছবিও তোলেন। মধুমিতার বয়ান অনুযায়ী, এরপর প্রত্যেকে নিজেদের ঘরে ঘুমোতে চলে যান। রবিবার সকালে বাড়ির পরিচারিকা এলে বেল বাজালে দরজা খোলেন মধুমিতা। পরিচারিকাই প্রদ্যুৎবাবুর ঘরে ঢুকে ওই দৃশ্য দেখেন। পরে পুলিসকে ডাকা হয়।
আরও পড়ুন: বাইক ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় গুলিবিদ্ধ যুবক
মধুমিতার বক্তব্য, সম্প্রতি তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। তা নিয়ে মানসিক অবসাদে ছিলেন তাঁর বাবা-মা। তা থেকেই এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, দুদিন আগেই হুগলিতে উচ্চশিক্ষিত ছেলের চাকরি না পাওয়ার অবসাদে আত্মঘাতী হন এক বৃদ্ধ দম্পতি। জানা যায়, তাঁদের ছেলে স্নাতকোত্তর পাশ করেও হোম ডেলিভারির ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি দম্পতি।