কলকাতা: বাইক চালাচ্ছিলেন। আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন। কোনওমতে পুলিশের নজরে পড়ে বিষয়টি। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ওপর ভয়ঙ্কর ঘটনা। বাইক চালাতে চালাতেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক ব্যক্তি। পুলিশের তত্পরতায় ওই বাইক চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম হৃত্বিক রায়। বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তি হাওড়ার আন্দুল রোডের বাসিন্দা। দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে তিনি কলকাতার দিকে আসছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বাইক চালাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। আচমকাই দেখা যায় বাইক নিয়েই মাঝখানে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। সারা শরীর ঘামে ভিজে গিয়েছে।
বাইক থেকে প্রায় পড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। অনান্য পথ চলতি মানুষরা বিপদ আঁচ করতে পারেন। তাঁরা দৌঁড়ে এসে তাঁকে ধরেন। তাঁদের গায়ে হেলে পড়েন ওই ব্যক্তি। অস্পষ্ট গলায় বলতে থাকেন, তাঁর বুকে ব্যথা হচ্ছে। তিনি যে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন, তা বুঝতে পারেন তাঁরা।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “কোনওরকমভাবে তাঁকে ধরিয়ে রাস্তার পাশে বসানো হয়। কিন্তু তিনি কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। শুধু বুকে হাত দিচ্ছিলেন। বুকে অসহ্য ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি। কথা বলতে পারছিলেন না। চোখেমুখে জলের ঝাপটা দেওয়া হয়। জলটুকুও খেতে পারছিলেন না। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।”
অন্য আরেক জনের কথায়, “বাইক রাস্তার মাঝেই দাঁড় করিয়ে দেওয়ায় আমরা বিরক্তই হয়েছিলাম প্রথমটায়। কিন্তু একটু লক্ষ্য করতেই বুঝতে পারি, ওঁর আচরণ স্বাভাবিক নয়। বাইকটা নিয়েই প্রায় কাঁত হয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন। আমাদের অনেকেই ছুটে গিয়ে ধরে ফেলেন ওঁকে। কোনওমতে ধারে নিয়ে এসে বসানোর চেষ্টা করা হয়। তবে ওঁর শরীর প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল। কিচ্ছু বলার মতো পরিস্থিতিও ছিল না। জল দেওয়া হচ্ছিল চোখমুখে। জল খেতে পারেননি সেভাবে। ঘেমে অস্থির হয়ে যাচ্ছিলেন। মনে হচ্ছে, হার্ট অ্যাটাক হলেও হতে পারে। তবে মাঝ রাস্তায় এই ঘটনা ভয়ঙ্কর। বড় কোনও বিপদ হতে পারত। ভাগ্যিস আশেপাশে বড় কোনও গাড়ি ছিল না।”
প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ পুলিশে খবর দেন। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে থাকা কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। অসুস্থ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন পুলিশকর্মীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি বাইক চালাতে চালাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেসময় তাঁর আশেপাশে তাঁরা ছিলেন, তাঁদের নজরে পড়ে বিষয়টি। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করেন। প্রাথমিকভাবে জল-হাওয়া দেন।তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই ব্যক্তির বাইক থেকে বেশ কিছু কাগজ পাওয়া গিয়েছে। তাছাড়া ব্যক্তির মোবাইলেও বাড়ির নম্বর সেভ করা ছিল। অসুস্থ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে পৌঁছেছেন বলে খবর। পুলিশ ওই ব্যক্তির বাইকটি উদ্ধার করেছে। পরে তা পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আরও পড়ুন: টেনে হিঁচড়ে চুলের মুঠি ধরে ঘর থেকে টেনে বার করে আনা হল বৌদিকে…তৃণমূল কর্মীর পরের কীর্তি আরও নৃশংস