Gariahat Double Murder: সুবীর চাকি খুনে গ্রেফতার এক, এখনও পলাতক মূল অভিযুক্ত

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Oct 20, 2021 | 10:56 PM

Gariahat Murder Investigation: আগামিকাল মিঠুকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত ভিকি (মিঠুর বড় ছেলে) এখনও অধরা।

Gariahat Double Murder: সুবীর চাকি খুনে গ্রেফতার এক, এখনও পলাতক মূল অভিযুক্ত
গড়িয়াহাটের জোড়া খুনের জড়িত থাকার অভিযোগ গ্রেফতার মিঠু হালদার (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

কলকাতা : গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনের জট খুলতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত অভিযুক্ত মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার। আজ ডায়মন্ড হারবার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আগামিকাল মিঠুকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত ভিকি (মিঠুর বড় ছেলে) এখনও অধরা।

কর্পোরেট কর্তা ও তাঁর গাড়ির চালক খুনের তদন্তে নেমে গতকাল রাতেই ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছে গিয়েছিলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। অভিযুক্ত মিঠু হালদার যে বাড়িতে ভাড়া থাকত, কাল রাতেই সেখানে তল্লাশি চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপর আজ সকাল থেকে মিঠু ও তার ভাইকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। বিকেলে ডায়মন্ড হারবার থেকে তাকে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়। এরপর সেখানেই আরও একদফা জিজ্ঞাসাবাদ চলে, এবং সেখানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। একের পর এক অসঙ্গতির জেরে মিঠুকে গ্রেফতার করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।

ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ছিল বলে সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা। মিঠু হালদারের বড় ছেলেকে ভিকি এই ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রী বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাঁর খোঁজ শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য, মিঠুকে এর আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। স্বামীকে হাত-পা বেঁধে খুনের চেষ্টা করেছিল সে। সেই ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকমাস ধরে মৃত সুবীর চাকি তাঁর গড়িয়াহাটের বাড়িটি বিক্রি করার পরিকল্পনা করছিলেন। রবিবারও সেই বিষয়ে কথা বলতে সেই বাড়িতে যান সুবীরবাবু। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, বাড়ি বিক্রি নিয়ে একজনের সঙ্গে দেখা করতেই রবিবার গড়িয়াহাটের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। তারপরই বাড়ির তিনতলা থেকে উদ্ধার হয় সুবীর বাবু ও তাঁর ড্রাইভারের দেহ।

জানা যায়, ওই বাড়িটি অনেকেই কিনতে চেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ছিল ধৃত মিঠু হালদারের বড় ছেলে ভিকি। ভিকি মূলত জমির দালালির কাজের সঙ্গে যুক্ত। জানা গিয়েছে, ভিকি বাড়িটি কিনতে চাইলে সুবীরবাবু বাড়িটির জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা দাম চান। কিন্তু সেই সময় এই টাকা ছিল না ভিকির কাছে। তার কাছে ৩০-৩৫ লাখ টাকা ছিল।

এই ঘটনার পর বেশ অনেকদিন কেটে যায়। মাস খানেক আগে ভিকি জানতে পারে ওই কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়িটি এখনও বিক্রি হয়নি। আর তারপরই নিজের মতো করে অভিসন্ধি করতে শুরু করে ভিকি। এদিকে ভিকি ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছিল, সুবীরবাবু অত্যন্ত বিত্তবান একজন ব্যক্তি। সেই মতো ফাঁদ পেতেছিল, সুবীর চাকির থেকে কিছু পরিমাণ টাকা হাতানোর। ভিকি তার মা মিঠু হালদারকেও গোটা বিষয়টি জানায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুবীর চাকিকে খুনের কোনও পরিকল্পনা ছিল না ভিকির। ভিকি চেয়েছিল সুবীরবাবুকে ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করতে। কিন্তু সুবীরবাবু ভিকিকে চিনে ফেলায় তাঁকে খুন করে ভিকি।

এদিকে ভিকির সঙ্গে তার দুই বন্ধুও পলাতক। ওই দুই বন্ধুও ভিকির অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। পলাতক ভিকি ঘন ঘন নিজের মোবাইলে সিম বদলাচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন : Crime: ‘ছেলে চেয়েছিলাম তাই…’ হাসপাতালের বেডে একদিনের কন্যাসন্তানকে খুন করে নির্বিকার মা!

Next Article