কলকাতা : পুরভোট ঘিরে সরগরম আগরতলা। রাত পোহালেই সেখানে পুর নির্বাচন। এবার বামেদের পাশাপাশি বিজেপির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে ভোটে লড়ছে তৃণমূল। গত কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে ত্রিপুরায় গিয়েছেন তৃণমূলের একাধিক সাংসদ- বিধায়ক। এবার সেই ভোটের ঠিক আগেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ওএসডিকে তলব করল কলকাতা পুলিশ।
আজ কলকাতা পুলিশের তরফে বিপ্লব দেবের ওএসডি সঞ্জয় মিশ্রকে তলব করা হয়েছে। তাঁকে ২৫ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার নারকেলডাঙা থানায় হাজির হতে বলা হয়েছে। বিপ্লব দেব প্রশাসনের সেই উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। সঞ্জয় মিশ্র নামে ওই অফিসারের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁকে কলকাতায় ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ। সঞ্জয় মিশ্র জানিয়েছেন, কলকাতা পুলিশের ওই চিঠির জবাব দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি আপাতত হাজিরা দেবেন না বলে জানা গিয়েছে।
এ দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকেও ত্রিপুরা নিয়ে আলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে মমতা জানালেন, ত্রিপুরার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুটা নালিশের সুরেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজের অভিযোগ তুলে ধরেন মমতা। মমতা জানিয়েছেন, “সায়নীর মতো এমন জনপ্রিয় শিল্পীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।”
যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দফতরের সামনেও ধরনায় বসেছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে নর্থ ব্লকে ধরনা চালানোর পর অবশেষে আজ বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পান তৃণমূল সাংসদরা। সেই বৈঠক শেষে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদরা জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, ত্রিপুরায় আর হিংসা হবে না।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর দরবারে বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি মমতার
আগামিকাল ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পুরভোট রয়েছে। ভোট স্থগিত রাখার আবেদন খারিজ করলেও ত্রিপুরা পুলিশকে কার্যত সতর্ক করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ভোটগ্রহণ পর্ব থেকে শুরু করে ফল ঘোষণা, গোটা প্রক্রিয়া যাতে নির্বিঘ্নে সম্পূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে ত্রিপুরা পুলিশকে। একইসঙ্গে কোনওরকম পক্ষপাতিত্ব না করে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরা পুলিশকে। তৃণমূলের তরফে তাদের কর্মী ও দলীয় প্রার্থীরা প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার যে অভিযোগ তো হচ্ছে, সেগুলিকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।