যাদবপুরে মানবাধিকার কমিশনের কর্তার উপর কোনও হামলা হয়নি, আদালতে জানালেন পুলিশকর্তা
ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশেই যাদবপুরে গিয়েছিলেন মানবাধিকার কমিশনের কর্তারা।
কলকাতা: যাদবপুরে মানবাধিকার কমিশনের কর্তাদের উপর হামলার ঘটনায় এ বার আদালতে রিপোর্ট জমা দিলেন পুলিশ কর্তা রশিদ মুনির খান। পুলিশ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যাদবপুরে মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের উপর হামলার কোনও ঘটনাই ঘটেনি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ কর্তাকে শো-কজ করা হয়েছিল আদালতের তরফে। সেই শো-কজের জবাবেই তিনি হামলার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশেই যাদবপুরে গিয়েছিলেন মানবাধিকার কমিশনের কর্তারা। সেই সময়ই হামলার ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ।
শো-কজের জবাবে রশিদ মুনির কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছেন, কমিশনের কর্তাদের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। গত ২৯ জুনের এই ঘটনা নিয়ে আদালতে বলা হয়েছে, ওইদিনের আগে প্রশাসনকে জানানো হয়নি যে যাদবপুরে যাবেন মানবাধিকার কমিশনের কর্তারা। সেই তথ্য জানানো হয় এসকর্ট ভ্যানের অফিসারের পক্ষ থেকে। যাদবপুরে পৌঁছে নীলসঙ্ঘ এলাকায় পৌঁছলে সেখানে একপ্রস্থ ঝামেলা হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। সেখান থেকে যাদবপুর স্টেশন সংলগ্ন একটি হাসপাতালে যান মানবাধিকার কমিশনের সদস্য আতিফ রশিদ।
সেখানে গেলে এক মহিলা তাঁকে বাংলায় কিছু অভিযোগ জানান। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য আতিফ রশিদের সামনেই তিনি অভিযোগ করেন। রশিদ হিন্দিতে পালটা কথা করেন। কিন্তু নীলসঙ্ঘ এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মহিলাদের উপর ধাক্কাধাক্কি করায় অভিযোগ তুলে বাকিরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এ দিনের শো-কজ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সেই সময় রশিদকে সব রকম পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। এরপরে যাদবপুরের ওসি ফোন করে কমিশনের কর্তাদের কাছে জানতে চান, তাঁরা কোনও এফয়াইয়ার করতে চান কি না। সেটাও তাঁরা করতে চাননি বলে দাবি পুলিশকর্তার। আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত দফতরে চাকরির নামে ভুয়ো কারবার, পুলিশের জালে সল্টলেকের তিন মহিলা