পঞ্চায়েত দফতরে চাকরির নামে ভুয়ো কারবার, পুলিশের জালে সল্টলেকের তিন মহিলা
Saltlake: এদিকে এই অতিমারির সঙ্কটকালে দূর দূরান্ত থেকে বহু কষ্ট করে ইন্টারভিউ দিতে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ।
কলকাতা: রাজ্যজুড়ে একের পর এক জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস করছে পুলিশ। এবার পঞ্চায়েত দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, সরকারি ভাবে যে পদের কোনও অস্তিত্বই নেই, সেই পদে নিয়োগের নামে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। ফর্ম পূরণের জন্য বেধে দেওয়া হয়েছিল ‘টোকেন মানি’। তা দিয়েই পরীক্ষা দিতে এসে প্রার্থীরা দেখেন গোটা ব্যাপারটি জাল। এই ঘটনায় তিন মহিলা-সহ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, দু’মাস ধরে একটি ওয়েবসাইট খুলে পঞ্চায়েত সেবক পদে চাকরির নামে প্রতারণা চলছিল। চাকরি প্রার্থীরা নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকাও দেন। কিন্তু চাকরি পাননি। এরপরই সল্টলেকে পঞ্চায়েত ভবনে গিয়ে খোঁজ খবর করে দেখেন এমন কোনও পদে নিয়োগের কোনও প্রশ্নই এই মুহূর্তে নেই। এরপরই তাঁরা বুঝতে পারেন গোটা বিষয়টি ভুয়ো। প্রতারিতরা বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন।
অভিযোগ, সল্টলেক এডি ১৩০ ঠিকানায় ঘর ভাড়া নিয়ে এই কারবার চলছিল রমরমিয়ে। এদিন প্রতারিতদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হানা দেয়। সেখান থেকেই চারজনকে আটক করে নিয়ে যায় তদন্তকারীরা। এই চক্রের পিছনে কে বা কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। যে চারজন ধরা পড়েছেন, তাঁরা নিছকই বেতনভূক কর্মী নাকি এই জালিয়াতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে এই অতিমারির সঙ্কটকালে দূর দূরান্ত থেকে বহু কষ্ট করে ইন্টারভিউ দিতে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ। মঙ্গলবারও বেশ কয়েকজনকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল সল্টলেকের ওই অফিসে। এরকমই একজন সুন্দরবনের সৌমেন সরকার। তিনি বলেন, “আমরা অনলাইনে ফর্ম ফিলআপ করেছিলাম। ইমেল পাঠিয়ে আমাদের ডাকা হয়। এখানে এসে দেখছি এই ঘটনা। পুরোটাই ভাঁওতা।” কিন্তু কী ভাবে এই অফিসের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ হল?
সুন্দরবনের ওই যুবকের দাবি, “গুগল থেকে লিঙ্ক পেয়েছিলাম। সেখান থেকেই যোগাযোগ করি। আমাদের লিখিত পরীক্ষাও হয় অনলাইনে। অনেকে পাশ করে, অনেকে করেনি। আমরা যারা লিখিত পরীক্ষায় পাশ করি, এখানে ডেকে পাঠানো হয়। বলেছিল ১১টা থেকে ৪টের মধ্যে আসতে। এরইমধ্যে এই ঘটনা।” সম্প্রতি বেশ কিছু ভুয়ো কারবারির অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব, ভুয়ো সিবিআই অফিসার শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সনাতন রায়চৌধুরী আরও একাধিক। সকলেই কোনও না কোনও সরকারি দফতরে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ। এবার পঞ্চায়েত দফতরের নামেও জালিয়াতির অভিযোগ উঠল খাস কলকাতায়। আরও পড়ুন: বিধানসভার আট কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা বিজেপি বিধায়কদের