করোনার ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ অ্যান্টিবডি ককটেলের গবেষণা এবার শহরের ৫ সরকারি হাসপাতালে
Antibody Cocktail: কোনও সরকারি পরিকাঠামোয় এ ধরনের গবেষণা কার্যত এই প্রথমবার হবে
কলকাতা: কোভিড ১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে নাকি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ মতো কাজ করে অ্যান্টিবডি ককটেল ফর্মুলা। অন্তত সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা তেমনই ইঙ্গিত করেছে। সেই অ্যান্টিবডি ককটেলের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এ বার শুরু হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গেও। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধীনেই এই গবেষণা হবে। কোনও সরকারি পরিকাঠামোয় এ ধরনের গবেষণা কার্যত এই প্রথমবার হবে বলে জানা গিয়েছে।
করোনার উপসর্গ সামান্য হোক, মাঝারি বা অতি গুরুতর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অ্যান্টিবডি ককটেল অব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে পৃথিবীর একাধিক দেশে। এই প্রথম সরকারি পরিকাঠামোয় শহরের পাঁচটি হাসপাতালে অ্যান্টিবডি ককটেল নিয়ে গবেষণা শুরু করা হবে। যে পাঁচটি হাসপাতালে এই গবেষণা চলবে তা হল- কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল, এমআর বাঙ্গুর হাসপাতাল, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ এবং শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল। রাজ্য সরকার তথা স্বাস্থ্য ভবনের তত্ত্বাবধানেই এই গবেষণা চালানো হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে।
চিকিৎসক শান্তনু ত্রিপাঠী এবং জ্যোতির্ময় পাল, এই দুই চিকিৎসকের নেতৃত্বে এই গবেষণা চলবে শহরের পাঁচটি নামজাদা হাসপাতালে। এই ককলটেল বেছে বেছে কিছু মানুষের উপরই প্রয়োগ করে হবে। সূত্রের খবর, যেসব করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির স্বল্প থেকে মাঝারি উপসর্গ রয়েছে, এবং বয়স ৬০ বছরের কম তাঁদের উপর এই গবেষণা চালানো হবে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তির অন্য কোনও রোগ (কো-মর্বিডিটি) থাকা যাবে না বলেই জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে। যদিও কোন সংস্থার অ্যান্টিবডি ককটেলের গবেষণা কলকাতায় হবে সেই সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
কী এই অ্যান্টিবডি ককটেল? ইংরেজিতে ককটেল শব্দটির অর্থ হল, দুই ধরনের তরলের সংমিশ্রণ। কঠিন রোগের বিরুদ্ধে লড়তে দুই ধরনের প্রতিষেধক মিশিয়ে প্রয়োগ করার প্রযুক্তিকেই অ্যান্টিবডি ককটেল বলা হয়ে থাকে। এই ককটেল ব্যবহার করার ফলেই করোনা আক্রান্ত হয়েও রাতারাতি এক সপ্তাহে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতেও করা হয়েছিল এই ককটেলের ব্যবহার। যা ফল মিলেছে তা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। গত জুন মাসে হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে ৪০ জনের উপর প্রয়োগ করা হয়েছিল এই ককটেল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সকলেই সুস্থ হয়ে ওঠেন। এ বার কলকাতায় এর গবেষণা সফল হয় কি না এখন সেদিকেই চোখ রাজ্যের চিকিৎসক মহলের। আরও পড়ুন: এবার ভুয়ো সেনার খোঁজ মিলল বাংলায়, নকল পরিচয়পত্র বানিয়ে প্রতারণার অভিযোগ