কলকাতা: ডিওয়াইএফআই (DYFI) কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ১১ তারিখ নবান্ন অভিযানের পর কোথায় ছিলেন মইদুল, তা জানতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে পুলিশ। এবার এই প্রশ্ন নিয়েই চিকিৎসক তথা সিপিআইএম নেতা ফুয়াদ হালিমকে চিঠি দিল কলকাতা পুলিশ।
বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ হাসিম আব্দুল হালিম-পুত্র ফুয়াদ হালিমকে মঙ্গলবার চিঠি দিয়েছে নিউ মার্কেট থানার পুলিশ। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মইদুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা যায়, চিকিৎসক ফুয়াদের তত্ত্বাবধানেই ছিলেন তিনি। এরপরেই নবান্ন অভিযানের পর থেকে মইদুল কোথায় ছিলেন তা জানতে চেয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ‘গুলি’, তদন্তে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা
গুরুতর আঘাত থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি, পুলিশকেও কেন কোনও তথ্য দেওয়া হল না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কারা সেদিন তুলে নিয়ে গিয়েছিল মইদুলকে, সেই তথ্যও নেই পুলিশের কাছে। এমনকি পরিবারকেও সে ভাবে কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। ১১ তারিখ আঘাত লাগার পর কী কী চিকিৎসা হয়েছিল, সেটাও জানাতে হবে ডাঃ ফুয়াদ হালিমকে।
এই চিঠি পাওয়ার পর ফুয়াদ হালিম TV9 বাংলা-কে বলেন, “আমার কাছে নথি চাওয়া হয়েছে। আমি মৌখিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছি, লিখিত ভাবে মইদুলের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি পাঠিয়ে দিচ্ছি।”
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা, মৃত কমপক্ষে ৩৭
মইদুলের মৃত্যু প্রসঙ্গে আগেই অবশ্য ফুয়াদ হালিম বলেন, “পেশিতে আঘাত লেগেছে। এরপর কিডনি ড্যামেজ হয়। ফুসফুসে জল জমতে শুরু করে। সোডিয়াম কমে যায়, পটাশিয়াম বেড়ে যায়। সোমবার সকালে হার্ট অ্যাটাক হয়। সবটাই পেশিতে আঘাতের কারণেই হয়েছে।”
এসএফআই-এর তরফে দাবি, পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম এই ডিওয়াইএফআই কর্মী ১৩ তারিখ থেকে চিকিৎসক ফুয়াদ হালিমের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁর মাথার আঘাত ছিল গুরুতর। বুকে-পিঠে ব্যথা লাগে, ছিল শ্বাসকষ্টও। এরপরই সোমবার হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর, দাবি ফুয়াদ হালিমের।
এ দিকে, মইদুলের মৃত্যুতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে ময়না তদন্তের রিপোর্ট-সহ একাধিক নথি সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া, সে দিন রাস্তায় যে সব সিসিটিভি লাগানো হয়েছিল, সেগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।