কলকাতা: আপাতত সরছে ঘূর্ণাবর্ত, কাটছে দুর্যোগ। তবে এখনই বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই নেই। বিক্ষিপ্তভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। তবে এই বৃষ্টি ঘূর্ণাবর্তের জন্য হয়। গাঙ্গেয় জেলাগুলিতে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকছে, আর তার জেরেই বৃষ্টি (Rain Forecast)। বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চারের ফলেই বৃষ্টি হবে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘলা থাকবে কোথাও কোথাও বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার করে বৃষ্টি হবে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে গরমের অস্বস্তি থাকবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে রকম জলীয়বাষ্পের পরিমাণ অনেকটাই বেশি সেই কারণে এই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
এদিকে, দুর্গাপুর বারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ফের কিছুটা বাড়াল সেচ দফতর। দুর্গাপুর বারাজ থেকে সকালে ছাড়া হচ্ছিল ৫৯,৩৭৫ কিউসেক জল। বেলা ১২টা থেকে ছাড়া হচ্ছিল ৬১৩৫০ কিউসেক জল। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ছাড়া হচ্ছে ৬৫,৩০০ কিউসেক জল। ডিভিসির মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে মিলিত ভাবে ছাড়া হচ্ছে ৪০,০০০ কিউসেক জল।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ভারী বৃষ্টি না হলেও বজগর্ভ মেঘ সঞ্চার করে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে দিনভর। তাতে কিছুটা চাপ বাড়ছে বানভাসিদের। নাকুল দু’নম্বর ব্লকের ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক গ্রাম এখনও জলের তলায়। বেশ কিছু এলাকায় দুর্গতরা ছাদে ত্রিপল টানিয়ে জীবন যাপন করছেন। রূপনারায়ণের জল খানাকুলের ধানঘ্যোরী গ্রাম পঞ্চায়েতের পাত্র পাড়া ও মাইতি পাড়া এলাকা দিয়ে গ্রামে ডুকছে এখনো। তবে নতুন করে খানাকুলে বন্যার জলস্তর বাড়ে নি।
কিছুটা হলেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে আমতা দু’নম্বর ব্লকে। দু’দিন ধরে ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছিল, জল কমতে শুরু করেছিল ঘাটালের উঁচু এলাকাগুলিতে। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল ঘাটালের জনজীবন। তবে এই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতেও ভয় পাচ্ছেন দুর্গতরা। বানভাসি মানুষের দাবি বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়লে আবারও নতুন করে প্লাবিত হতে পারে ঘাটাল। আরও পড়ুন: সুদীপের মাথায় চোট, জয়ার গালে আঘাত! এসএসকেএম-এ চিকিত্সা শেষে ফের ওঁদের ‘টার্গেট’ ত্রিপুরা