কলকাতা: আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে ধেসে আসছে ঝড়। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার-সহ সন্নিহিত এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Report)। দুপুর ১২টার বুলেটিনে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বৃষ্টি হতে পারে হাওড়া, বাঁকুড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরেও।
৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে কলকাতায়। পাশাপাশি হাওড়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষ করে উপকূলের জেলা গুলোতে বিক্ষিপ্ত ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একটা নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থিত আছে পশ্চিম রাজস্থান থেকে অসাম পর্যন্ত। উত্তর প্রদেশ, বিহার হয়ে পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে গেছে এই নিম্নচাপ অক্ষরেখা।
এছাড়াও পশ্চিমের হাওয়াও রয়েছে। এর ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। এই কারণে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলা ও পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলোতে ঝড় বৃষ্টি হবে। শুধুমাত্র পশ্চিমের জেলাগুলোতে বৃষ্টি হবে না। আগামী ২৪ ঘণ্টা এই ঝড়-বৃষ্টি বজায় থাকবে। ১৩ তারিখ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। ১৪ তারিখ থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই বৃষ্টির জন্য তাপমাত্রা অনেকটা কমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়ির সামনেই রাস্তায় ফেলা চাদরে ঢাকা করোনা রোগীর দেহ! প্রহর গুনছেন প্রতিবেশীরা
মঙ্গলবার ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। রাজভবনের সামনেই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের। এদিকে, জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। করোনা প্রকোপের মধ্যেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কা লাগে জেলাগুলিতে। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। আগামী দু-তিন দিন টানা বৃষ্টি হলে ধান বাঁচানো যাবে না বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন চাষিরা। সেই আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণ করল আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস।